Alipurduar: লাগাতার খবরের জের, অবশেষে বালি পাচারে গ্রেফতার ৩

TV9 Bangla Digital | Edited By: সঞ্জয় পাইকার

May 15, 2022 | 12:44 PM

Alipurduar: শনিবার গোপন সূত্রে খবর পেয়ে নিমতি ফাঁড়ির ওসি অমিত কুমার শর্মার নেতৃত্বে পুলিশের একটি বিশেষ দল কালচিনি ব্লকের নিমতি এলাকায় অভিযান চালিয়ে তিনটি বালি বোঝাই ট্র্যাক্টর আটক করে।

Alipurduar: লাগাতার খবরের জের, অবশেষে বালি পাচারে গ্রেফতার ৩
জেসিবি দিয়ে দিনের আলোতেই চলছে বালি পাচার (নিজস্ব ছবি)

Follow Us

আলিপুরদুয়ার: রমরমিয়ে চলছিল বালি পাচার। সেই খবর সম্প্রচার করে TV9 বাংলা। তারপর দু’দিন বিরতি দিয়ে ফের সক্রিয় হয় বালি মাফিয়ারা। পুনরায় অভিযোগ ওঠে বালি পাচারের। এরপর লাগাতার খবরের জেরে অবশেষে পুলিশি হস্তক্ষেপ। শনিবার তিনটি বালি বোঝাই ট্র্যাক্টর আটক করল কালচিনি থানার নিমতি ফাঁড়ির পুলিশ। গ্রেফতার হয়েছে তিনজন ট্রাক চালকও।

জানা গিয়েছে, শনিবার গোপন সূত্রে খবর পেয়ে নিমতি ফাঁড়ির ওসি অমিত কুমার শর্মার নেতৃত্বে পুলিশের একটি বিশেষ দল কালচিনি ব্লকের নিমতি এলাকায় অভিযান চালিয়ে তিনটি বালি বোঝাই ট্র্যাক্টর আটক করে। বালি তোলার কোনও বৈধ কাগজ না থাকার কারণে তার চালকদের গ্রেফতার করে পুলিশ। অভিযুক্তদের নাম শম্ভু রায়, পুরান বসুমাতা ও শংকর ওরাওঁ। তাঁরা নিমতি এলাকার বাসিন্দা। তাঁদের সোমবার আলিপুরদুয়ার জেলা আদালতে পাঠানো হবে বলে জানিয়েছেন নিমতি ফাঁড়ির ওসি অমিত কুমার শর্মা। তিনি জানিয়েছেন, এই ধরনের অভিযান লাগাতার চলবে।

আলিপুরদুয়ারের বনচুকামারীতে কালজানি নদী। সেখানে রমরমিয়ে চলছিল অবৈধ বালি পাচার। TV9 বাংলার খবরের জেরে শুরু হয় পুলিশি অভিযান। সেই অভিযান চালু হতেই বে-আইনি বালি পাচার বন্ধ হয়েছে সাময়িক ভাবে। কিন্তু কয়েকদিন যেতে না যেতেই ফের শুরু একই কার্য-কলাপ। জানা গিয়েছে, আবারও সক্রিয় হয়েছে বালি মাফিয়ারা। অবাধে চলছে বালি তোলার কাজ। দিনের আলোতেই জেসিপি লাগিয়ে বালি তোলার কাজ চালাচ্ছে মাফিয়ারা।

এর পাশেই ডাঙ্গাটারী গ্রাম। জাতীয় সড়কের জন্য এই বালি ব্যবহার করা হবে বলে গ্রামবাসীদের ভুল বুঝিয়ে বালি পাচার চলতে থাকে। গ্রামবাসীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেল, এই কাজে যুক্ত শাসক দলের নেতারা। তাঁদের ভয়ে কেউ কিছু বলতে যান না। বলতে গেলেই মারধরের হুমকি দেওয়া হয় বলেও অভিযোগ উঠেছে। সেই কারণেই মুখে কুলুপ এটেঁছেন গ্রামবাসীরা। তবে গ্রামবাসীদের আশঙ্কা, বর্ষায় নদীবাঁধ ভেঙে গেলে বিপন্ন হবে গ্রাম। এক স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, “প্রশাসনকে তোয়াক্কা না করেই রমরমিয়ে চলছে বালি পাচার। কেউ কিছু বলেও না। এই রকম চলতে থাকলে রাস্তাঘাট, বাড়ি সব ভেঙে যাবে।”

বস্তুত, এর আগে ওই একই এলাকা থেকে কয়েকদিন আগে বালি পাচারের খবর প্রকাশ্যে এসেছিল। পাশেই কোচবিহার সীমান্ত। সেই সীমান্তেই রমরমিয়ে চলছিল বালি খাদান। অভিযোগ, বালি মাফিয়ারা ক্রমাগত বালি তোলার কাজ শুরু করে আলিপুরদুয়ারের সীমান্ত লাগোয়া কালজানি নদীতে। তখনও স্থানীয় মানুষের অভিযোগ ছিল, যারা এই কাজ করছে প্রত্যেকেই যুক্ত শাসকদলের সঙ্গে।

Next Article