Supreme Court on Prostitution: যৌন পেশা নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের বড় সিদ্ধান্তে খুশির হাওয়া আলিপুরদুয়ারের সমাজনগরে
Alipurduar: আলিপুরদুয়ার অভিভাবক মঞ্চের সম্পাদক ল্যারি বোস বলেন, "আলিপুরদুয়ারে ১১০ জন যৌনকর্মী রয়েছেন। এখন তাঁরা অসংগঠিত শ্রমিক হিসাবে সামাজিক প্রকল্পগুলির সুবিধা পাবেন।"
আলিপুরদুয়ার: একদিন আগেই সুপ্রিম কোর্ট বিশেষ পর্যবেক্ষণে জানিয়েছে, ‘যৌন পেশা বেআইনি নয়।’ বাকি পেশার মত যৌন পেশাও একটি পেশা মাত্র। অন্যান্য পেশার কর্মীদের মতই যৌন কর্মীদের মর্যাদা রয়েছে। সুপ্রিমকোর্টের এই পর্যবেক্ষণ ঘিরে খুশির হাওয়া আলিপুরদুয়ারে। এখানকার সমাজনগরে দেখা গেল যৌনকর্মীদের হাত মুষ্ঠিবদ্ধ হয়ে আকাশের দিকে তোলা। শুক্রবার আবীর খেলা, মিষ্টিমুখও চলে। দীর্ঘ লড়াইয়ে আইনি স্বীকৃতি পেলেন যৌনকর্মীরা। দেহ ব্যবসাকে আর পাঁচটা সাধারন কাজের মতই স্বীকৃতি দিয়েছে সুপ্রিমকোর্ট। পুলিশকেও বলা হয়েছে তাঁদের বিরুদ্ধে যেন কোনও আইনি পদক্ষেপ না করা হয়। যাঁরা এই পেশার সঙ্গে যুক্ত তাদেরও সম্মানের সঙ্গে বেঁচে থাকার অধিকার রয়েছে। আলিপুরদুয়ার অভিভাবক মঞ্চের সম্পাদক ল্যারি বোস বলেন, “আলিপুরদুয়ারে ১১০ জন যৌনকর্মী রয়েছেন। এখন তাঁরা অসংগঠিত শ্রমিক হিসাবে সামাজিক প্রকল্পগুলির সুবিধা পাবেন।”
ল্যারি বোসের কথায়, বহু বছর ধরে যৌনকর্মীরা শ্রমিক স্বীকৃতির জন্য আন্দোলন করে চলেছেন। পরে সুপ্রিমকোর্টের দ্বারস্থ হন। বেশ কয়েকবছর মামলা চলার পর বৃহস্পতিবার মহামান্য সুপ্রিম কোর্টের বিশেষ পর্যবেক্ষণ সামনে আসে। তাঁরা সংবিধানের সমস্ত অধিকার অর্জন করতে পারবে, অযথা তাঁদের কেউ হয়রানির শিকার করতে পারবেন না।
দুর্বার মহিলা সমিতির উপদেষ্টা হিসাবে কাজ করেন ল্যারি বোস। ফলে যৌন পেশার সঙ্গে যুক্ত এমন বহু মানুষকে নিয়ে কাজ করেন তিনি। তিনি জানান, বহু পরিশ্রম করে আলিপুরদুয়ার সমাজনগরে একটি স্কুল চালু করেছিলেন। যৌনকর্মীদের বাচ্চারা সেই স্কুলে পড়াশোনা করত। কিন্তু স্কুলটি বন্ধ হঠাৎই বন্ধ হয়ে যায়। এটি খোলার ব্যাপারে প্রশাসনের দ্বারে দ্বারে ঘুরেও কাজ হয়নি বলে তাঁর দাবি। এতদিন পর একটা স্বীকৃতি এল। তাও দেশের সর্বোচ্চ আদালতের হাত ধরে। সমাজনগরে এখন খুশির হাওয়া।