আলিপুরদুয়ার: কর্তব্যরত অবস্থাতেই নিজের বন্দুক থেকে গুলি চালিয়ে আত্মঘাতী হলেন তৃণমূল নেতার (Trinamool Leader) দেহরক্ষী। কিন্তু কী কারণে তিনি আত্মহত্যা (Suicide) করলেন তা এখনও পরিষ্কার নয়। চাঞ্চল্যকর এ ঘটনা ঘটেছে আলিপুরদুয়ারের (Alipurduar) জয়ঁগায়। সূত্রের খবর, বরিষ্ঠ তৃণমূল নেতা ও জয়গাঁ উন্নয়ন পর্ষদের চেয়ারম্যান গঙ্গাপ্রসাদ শর্মার নিরাপত্তা রক্ষী হিসাবে কাজ করতেন কোকিল শৈব (৫৭)। তাঁর বাড়ি কালচিনি ব্লকের মেন্দাবাড়ি গ্রামে। পুলিশ সূত্রের খবর, দীর্ঘ প্রায় ১৪ মাস ধরে গঙ্গাপ্রসাদ শর্মার দেহরক্ষীর হিসাবে কাজ করছিলেন কোকিল।
সূত্রের খবর, বুধবার রাতে র্তব্যরত অবস্থায় গঙ্গা প্রসাদ শর্মার বাড়িতেই তিনি তাঁর বন্ধুক দিয়ে আত্মঘাতী হন কোকিল। এই ঘটনার শোকের ছায়া নেমেছে গোটা এলাকাতেই। চৌপথি এলাকায় জেডিএ চেয়ারম্যান বাড়ির আশেপাশে এলাকাতেও কোকিলের মৃত্যু নিয়ে চলছে জোরদার চাপানউতর। থমথমে গোটা এলাকা। কোকিলের মৃত্যুতে শোকাহত জেডিএ চেয়ারম্যান গঙ্গাপ্রসাদ ও তাঁর পরিবারের সদস্যরা। কিন্তু, আচমকা তিনি আচমকা আত্মহত্যার পথ বেছে নিলেন সে বিষয়ে দিশাহীন সকলে।
অন্যদিকে কালচিনি মেন্দাবাড়িতে কোকিল শৈবের গ্ৰামের বাড়িতেও শোকাহত সকলে। এ ঘটনায় শোক প্রকাশ করেছেন মেন্দাবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান চন্দ্রা নার্জিনারী। খবর পাওয়া মাত্রই বৃহস্পতিবার সকালে তিনিও ছুটে যান জয়গাঁতে। তবে ঠিক কী কারনে তৃণমূল নেতার দেহরক্ষী আত্মঘাতী হলেন তা নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। ঘটনা প্রসঙ্গে গঙ্গাপ্রসাদ শর্মা বলেন, “আমার অন্য নিরাপত্তারক্ষীই ফোন করে আমাকে তড়িঘড়ি বাড়িতে ডাকে। ও সাধারণত এভাবে আমাকে বাড়িতে ডাকে না। আমি বাড়ি ফিরতেই গোটা ঘটনা জানতে পারি। আমি ছুটে গিয়ে দেখি উনি পড়ে রয়েছেন। হাতে বন্দুক ছিল। আমি তারপরই থানাকে জানাই। আমি এসপিকে ফোন করেও জানিয়েছিলাম। প্রায় ১৪ বছর থেকে আমার সঙ্গে ছিল ও। ও তো সবার সঙ্গে ভালভাবেই কথা বলত। কেন আচমকা এরকম করল বুঝতে পারছি না।”