আলিপুরদুয়ার: শুক্রবার আলিপুরদুয়ারে জনসভা করবেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা। আলিপুরদুয়ারে দলীয় বিধায়কের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে জনসভা করবেন তিনি। সম্প্রতি বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন আলিপুরদুয়ারের বিধায়ক সুমন কাঞ্জিলাল। তার পরেই আলিপুরদুয়ারে গিয়ে তাঁর বিরুদ্ধে জনসভা করার কথা ঘোষণা করেছিলেন বিরোধী দলনেতা। সেই মর্মে এদিন উত্তরবঙ্গের আলিপুরদুয়ারে ওই বিধায়কের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে জনসভা করবেন শুভেন্দু। প্রসঙ্গত, রাজনৈতিক সমীকরণ বলছে, ২০১৯ সালে আলিপুরদুয়ার বিজেপির শক্ত ঘাঁটি ছিল। কিন্তু গত পুরভোটে কিছুটা হলেও ধাক্কা খায় বিজেপি। ফালাকাটা নিজেদের দখলে নিয়ে নেয় তৃণমূল। সে সময়ই রাজনৈতিক অভিজ্ঞদের একাংশের মত ছিল, বিজেপি নেতারা যেভাবে বাংলা ভাগের কথা বলেছেন, তাতে বাঙালি মননে প্রভাব ফেলেছে। আর তারই ফল দেখা গিয়েছে পুরভোটে।
এরপরের বিষয়টা বিজেপির কাছে আরও চ্যালেঞ্জিং হয়, যখন আলিপুরদুয়ারের বিধায়ক সুমন কাঞ্জিলাল তৃণমূলে যোগ দেন। প্রসঙ্গত, গত রবিবার আলিপুরদুয়ারের বিধায়ক সুমন কাঞ্জিলাল অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত থেকে ঘাসফুল পতাকা নিয়েছেন। এরপরই দেখা যায়, আলিপুরদুয়ার জেলা বিজেপি কার্যালয়ে জরুরিভিত্তিক প্রস্তুতি সভা আয়োজন করে জেলা বিজেপি। উত্তরে বিজেপি শিবির কিছুটা হলেও জমি হারাচ্ছে বলেই মত রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। সামনেই পঞ্চায়েত নির্বাচন। উত্তরের সংগঠনকে শক্ত করতে নয়া স্ট্র্যাটেজি নির্ধারণ করছে গেরুয়া শিবির। এদিন শুভেন্দু অধিকারী কী বার্তা দেন, সেটাই দেখার।
দেখা গিয়েছে, একুশের নির্বাচনের পর থেকেই যত জন বিজেপি বিধায়ক দলবদল করেছেন, সেই এলাকায় কর্মীদের মনোবল বাড়াতে সভা করেছেন শুভেন্দু। আলিপুরদুয়ারের ক্ষেত্রেও তার ব্যতিক্রম ঘটল না। শুভেন্দুর সফর ঘিরে ইতিমধ্যেই মতপ্রকাশ করেছেন সদ্য দলত্যাগী সুমন কাঞ্জিলাল। তিনি বলেন, “রাজ্য ভাগের দাবি নিয়ে বিজেপি দ্বিচারিতা করছে। ক্ষমতা থাকলে শুভেন্দু তা ভুল বলে প্রমাণ করুন।”