AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Alipurduar Municipality: কাজই করেননি পুরসভায়, অথচ মাস গেলে অ্যাকাউন্টে ঢুকছে হাজার হাজার টাকা, যত কাণ্ড আলিপুরদুয়ারে

Alipurduar: অভিযোগ, আলিপুরদুয়ার পুরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডে এরকম ২০ জন রয়েছেন যাঁদের অ্যাকাউন্টে হাজার হাজার টাকা ঢুকেছে।

Alipurduar Municipality: কাজই করেননি পুরসভায়, অথচ মাস গেলে অ্যাকাউন্টে ঢুকছে হাজার হাজার টাকা, যত কাণ্ড আলিপুরদুয়ারে
চেয়ারম্যান প্রসেনজিৎ কর।
| Edited By: | Updated on: Jun 05, 2022 | 10:36 PM
Share

আলিপুরদুয়ার: পুরসভার কর্মীই নন, অথচ মাস গেলে অ্যাকাউন্টে ঢুকছে মোটা টাকা। এমনই অভিযোগ উঠেছে আলিপুরদুয়ার পুরসভায়। এই ঘটনা ঘিরে চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে এলাকায়। এ প্রসঙ্গে চেয়ারম্যান প্রসেনজিৎ কর বলেন, “আপনাদের মাধ্যমেই বিষয়টি জানতে পেরেছি। আমি দু’মাস হল দায়িত্বে এসেছি। আমরা এই বিষয়টি তদন্ত শুরু করেছি।” অভিযোগ, ট্রেজারির মাধ্যমে এই টাকা ঢুকছে। এ ব্যাপারে প্রসেনজিৎ করের বক্তব্য, “তদন্ত হচ্ছে। কেউ জড়িত থাকলে পুরসভা ব্যবস্থা নেবে।” তবে পুরসভার ভুয়ো কর্মীর অ্যাকাউন্টে টাকা ঢোকা নিয়ে আলিপুরদুয়ারের বিজেপি বিধায়ক সুমন কাঞ্জিলাল ইতিমধ্যেই সরব হয়েছেন। তাঁর প্রতিক্রিয়া, “ভয়াবহ পরিস্থিতি। আবারও দুর্নীতি প্রকাশ্যে এল। প্রশাসনকে কাজে লাগিয়ে শাসকদলের নেতা কর্মীরা ভুয়ো অ্যাকাউন্ট তৈরি করে টাকা আত্মসাৎ করছে।” একইসঙ্গে বিজেপি বিধায়ক বলেন, কোটি টাকার দুর্নীতি। এ কি আর পুরসভা তদন্ত করে বের করতে পারবে? তাঁর দাবি, কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআইকে এই তদন্তভার দেওয়া হোক। একইসঙ্গে তিনি বলেন, সোমবার থেকে এই ‘দুর্নীতি’কে সামনে রেখে আন্দোলনে নামছে বিজেপি।

আলিপুরদুয়ার পুরসভায় ২০০ জনের কাছাকাছি অস্থায়ী কর্মী রয়েছেন। দৈনিক হাজিরা থাকে তাঁদের। ২০টি ওয়ার্ডে তাঁদের দিয়ে নানান কাজ করানো হয়। তাঁরা দৈনিক ১০০ টাকা থেকে ৩০০ টাকা হাজিরা পান। অভিযোগ ওঠে, এর বাইরেও এমন অনেকের অ্যাকাউন্টে টাকা ঢুকছে, যাঁদের পুরসভায় হাজিরার কোনও প্রশ্নই নেই। এই দুর্নীতির মাত্রা কোটি টাকা ছাড়িয়ে যাবে বলেই আগেই আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন আরটিআই আন্দোলনকারী অলোক রায়।

অভিযোগ, আলিপুরদুয়ার পুরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডে এরকম ২০ জন রয়েছেন যাঁদের অ্যাকাউন্টে হাজার হাজার টাকা ঢুকেছে। কিন্তু তাঁরা কর্মী নন। একইসঙ্গে অভিযোগ, পুরসভার চতুর্থ শ্রেণির এক কর্মচারী এই টাকা আত্মসাৎ করেন। এ প্রসঙ্গে আলিপুরদুয়ার পুরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর দীপক সরকার জানিয়েছিলেন, “এরকম কিছু ঘটে থাকলে, তদন্তে প্রমাণ হলে চেয়ারম্যানের ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। বোর্ডে থেকে দুর্নীতি হবে, এটা তো মানা যায় না।” অন্যদিকে আরটিআই আন্দোলন কর্মী অলোক রায়ের অভিযোগ ছিল, ২০১৯ সাল থেকে এই দুর্নীতি চলছে। বড় চক্র এখানে কাজ করছে। এবার নড়েচড়ে বসল পুরসভা। চেয়ারম্যান জানিয়ে দিলেন, তদন্ত শুরু হয়েছে। কেউ জড়িত থাকলে আইন মেনেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।