Jungle Safari: গন্ডারের রোষে উল্টে গিয়েছিল পর্যটকদের গাড়ি, শিক্ষা নিয়ে বন দফতরের নয়া নির্দেশিকা

Sujit Roy | Edited By: সায়নী জোয়ারদার

Feb 27, 2023 | 7:00 AM

Jaldapara: বন দফতরের জারি করা নির্দেশিকা না মানলে নিয়ম ভাঙার দায়ে ব্যবস্থা নেবে বন দফতর।

Follow Us

আলিপুরদুয়ার: জলদাপাড়ায় (Jaldapara) শিউরে ওঠার মতো ঘটনা ঘটেছিল একদিন আগেই। জঙ্গল সাফারিতে গিয়ে উল্টে গিয়েছিল পর্যটকদের গাড়ি। দুই গন্ডারের ধাওয়ায় জিপসি গাড়িটির পিছু হঠতে গিয়ে ঘটে ভয়ঙ্কর ঘটনা। এরপরই জঙ্গল সাফারি নিয়ে একগুচ্ছ নির্দেশিকা জারি করল বন দফতর। শনিবার দুপুরে জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যানে গন্ডারের আক্রমণে নজিরবিহীন দুর্ঘটনার কবলে পড়ে পর্যটকবোঝাই জিপসি গাড়ি। গাড়ির চালক, গাইড ও ৫ জন পর্যটকের প্রায় সকলেই আহত হন। বরাত জোরে বড় বিপদ আটকানো গিয়েছে। ওই দুই গন্ডার যদি জঙ্গলের ভিতর না ঢুকে পর্যটকদের দিকে ধেয়ে আসত, ভয়ঙ্কর কিছু ঘটে যেতে পারত। ঘটনার খবর পাওয়া মাত্রই বন দফতর তৎপরতার সঙ্গে পর্যটকদের উদ্ধার করে মাদারিহাট হাসপাতালে নিয়ে যায় চিকিৎসার জন্য।

তাঁদের মধ্যে একজনের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় আলিপুরদুয়ার জেলা হাসপাতালে পাঠানো হয়। যদিও পরবর্তীকালে ওই পর্যটককে চিকিৎসার পর হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়। এই ঘটনার কথা মাথায় রেখে রবিবার দুপুরে জলদাপাড়ার ডিএফও দীপক এমের নেতৃত্বে গাইড, জিপসি চালক ও জিপসি মালিকদের নিয়ে একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক হয়।

সেখানে বন দফতর নির্দেশ দেয়, এখন থেকে জঙ্গলের ভিতরে কোনও পর্যটক জিপসি থেকে নীচে নামতে পারবেন না। খোলা যাবে না গাড়ির দরজাও। হাতি, বাইসন বা গন্ডার দেখার সময় পর্যটকরা কাছে যাওয়ার অনুরোধ করলেও গাইডদের শক্ত হাতেই পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে হবে। নিরাপদ দূরত্ব বজায় রাখতেই হবে।

জারি করা নির্দেশিকা না মানলে নিয়ম ভাঙার দায়ে ব্যবস্থা নেবে বন দফতর। এছাড়াও জঙ্গলের পথের পাশে থাকা ঝোপঝাড় কেটে পরিষ্কার করা হবে, যাতে দূর থেকে বন্যপ্রাণিদের আনাগোনা লক্ষ্য করা যায়। জিপসি চালক ও গাইডদের নিয়ে দ্রুত বিশেষ প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করবে বন দফতর। এ ছাড়াও প্রতিটি সাফারির গাড়িতে প্রাথমিক চিকিৎসার সরঞ্জামও রাখতে হবে।

বৈঠকের শেষে জলদাপাড়া বনবিভাগের ডিএফও দীপক এম বলেন, “ওই দুর্ঘটনা থেকে শিক্ষা নিয়ে আমরা পর্যটক, গাইড ও জিপসি চালকদের জন্য বেশ কিছু কড়া বিধিনিষেধের নির্দেশিকা জারি করেছি।” জলদাপাড়া জিপসি মালিক সংগঠনের সম্পাদক গোপাল সন্ন্যাসী বলেন, “বৈঠকে আমরা অতিরিক্ত নিরাপত্তা দাবি করেছি। তাতে আমরা এবং বেড়াতে আসা পর্যটক উভয় পক্ষই নিরাপদে থাকবে। এখন তা কীভাবে সুনিশ্চিত হবে তা ঠিক করবে বন দফতর।”

আলিপুরদুয়ার: জলদাপাড়ায় (Jaldapara) শিউরে ওঠার মতো ঘটনা ঘটেছিল একদিন আগেই। জঙ্গল সাফারিতে গিয়ে উল্টে গিয়েছিল পর্যটকদের গাড়ি। দুই গন্ডারের ধাওয়ায় জিপসি গাড়িটির পিছু হঠতে গিয়ে ঘটে ভয়ঙ্কর ঘটনা। এরপরই জঙ্গল সাফারি নিয়ে একগুচ্ছ নির্দেশিকা জারি করল বন দফতর। শনিবার দুপুরে জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যানে গন্ডারের আক্রমণে নজিরবিহীন দুর্ঘটনার কবলে পড়ে পর্যটকবোঝাই জিপসি গাড়ি। গাড়ির চালক, গাইড ও ৫ জন পর্যটকের প্রায় সকলেই আহত হন। বরাত জোরে বড় বিপদ আটকানো গিয়েছে। ওই দুই গন্ডার যদি জঙ্গলের ভিতর না ঢুকে পর্যটকদের দিকে ধেয়ে আসত, ভয়ঙ্কর কিছু ঘটে যেতে পারত। ঘটনার খবর পাওয়া মাত্রই বন দফতর তৎপরতার সঙ্গে পর্যটকদের উদ্ধার করে মাদারিহাট হাসপাতালে নিয়ে যায় চিকিৎসার জন্য।

তাঁদের মধ্যে একজনের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় আলিপুরদুয়ার জেলা হাসপাতালে পাঠানো হয়। যদিও পরবর্তীকালে ওই পর্যটককে চিকিৎসার পর হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়। এই ঘটনার কথা মাথায় রেখে রবিবার দুপুরে জলদাপাড়ার ডিএফও দীপক এমের নেতৃত্বে গাইড, জিপসি চালক ও জিপসি মালিকদের নিয়ে একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক হয়।

সেখানে বন দফতর নির্দেশ দেয়, এখন থেকে জঙ্গলের ভিতরে কোনও পর্যটক জিপসি থেকে নীচে নামতে পারবেন না। খোলা যাবে না গাড়ির দরজাও। হাতি, বাইসন বা গন্ডার দেখার সময় পর্যটকরা কাছে যাওয়ার অনুরোধ করলেও গাইডদের শক্ত হাতেই পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে হবে। নিরাপদ দূরত্ব বজায় রাখতেই হবে।

জারি করা নির্দেশিকা না মানলে নিয়ম ভাঙার দায়ে ব্যবস্থা নেবে বন দফতর। এছাড়াও জঙ্গলের পথের পাশে থাকা ঝোপঝাড় কেটে পরিষ্কার করা হবে, যাতে দূর থেকে বন্যপ্রাণিদের আনাগোনা লক্ষ্য করা যায়। জিপসি চালক ও গাইডদের নিয়ে দ্রুত বিশেষ প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করবে বন দফতর। এ ছাড়াও প্রতিটি সাফারির গাড়িতে প্রাথমিক চিকিৎসার সরঞ্জামও রাখতে হবে।

বৈঠকের শেষে জলদাপাড়া বনবিভাগের ডিএফও দীপক এম বলেন, “ওই দুর্ঘটনা থেকে শিক্ষা নিয়ে আমরা পর্যটক, গাইড ও জিপসি চালকদের জন্য বেশ কিছু কড়া বিধিনিষেধের নির্দেশিকা জারি করেছি।” জলদাপাড়া জিপসি মালিক সংগঠনের সম্পাদক গোপাল সন্ন্যাসী বলেন, “বৈঠকে আমরা অতিরিক্ত নিরাপত্তা দাবি করেছি। তাতে আমরা এবং বেড়াতে আসা পর্যটক উভয় পক্ষই নিরাপদে থাকবে। এখন তা কীভাবে সুনিশ্চিত হবে তা ঠিক করবে বন দফতর।”

Next Article