School Repairing: ‘নতুন বিল্ডিং চাই’, তিন বছর আগে ঝড়ে ভাঙা স্কুলের মেরামতি বন্ধ করলেন অভিভাবকরা

Sujit Roy | Edited By: অংশুমান গোস্বামী

Feb 26, 2023 | 7:10 AM

জানা গিয়েছে, বছর তিনেক আগে ঝড়ে ঘরঘড়িয়া হাট প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চাল উড়ে যায়। তার পর থেকে ভাঙা স্কুলেই চলছিল ক্লাস।

School Repairing: ‘নতুন বিল্ডিং চাই’, তিন বছর আগে ঝড়ে ভাঙা স্কুলের মেরামতি বন্ধ করলেন অভিভাবকরা
স্কুলের ভগ্নদশা

Follow Us

আলিপুরদুয়ার: ঝড়ের তাণ্ডবে ভেঙে পড়েছে স্কুলের বিল্ডিং। প্রায় তিন বছর ধরে ভগ্ন অবস্থায় পড়়েছিল সেই স্কুল। ঝড়ের তান্ডবে ঘর ভাঙলেও তিন বছর ধরে মেরামতি হয়নি বলে অভিযোগ। ভাঙা স্কুল ঘরেই এত দিন ধরে চলছিল ক্লাস। সেখানেই ছাত্রদের এসে ক্লাস করতে হত। বিষয়টি নিয়ে ক্ষুব্ধ ছিলেন স্থানীয় মহিলা এবং পড়ুয়াদের অভিভাবকরা। দীর্ঘ টালবাহানার পর ভেঙে পড়া স্কুলে মেরামতির কাজ শুরু হয়। এক ঠিকাদার সংস্থাকে কাজের বরাতও দেওয়া হয়। সেই মেরামতির কাজও শুরু হয়েছিল। কিন্তু পড়ুয়াদের অভিভাবক এবং স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ স্কুল বিল্ডিংয়ের অবস্থা এমনিতেই খারাপ। তার উপর মেরামতির কাজ হচ্ছে নিম্নমানের। এই অভিযোগ তুলে স্কুল বিল্ডিং মেরামতির কাজ বন্ধ করে দেওয়া হল। পড়ুয়াদের অভিভাবকদের দাবি, মেরামত নয়, নতুন করে তৈরি করতে হবে স্কুলের বিল্ডিং। শনিবার এই ঘটনা ঘটেছে আলিপুরদুয়ার জেলার এক নম্বর ব্লকের ঘরঘরিয়া হাট প্রাথমিক বিদ্যালয়ে।

জানা গিয়েছে, বছর তিনেক আগে ঝড়ে ঘরঘড়িয়া হাট প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চাল উড়ে যায়। তার পর থেকে ভাঙা স্কুলেই চলছিল ক্লাস। সম্প্রতি এক ঠিকাদারকে স্কুল কর্তৃপক্ষ স্কুল বাড়ি মেরামতের দায়িত্ব দেয়। সেই মতো ওই ঠিকাদারের লোকজন কাজ শুরু করে। এই বিষয়টি জানতে পেরেই স্থানীয় বাসিন্দা ও মহিলারা এসে কাজ বন্ধ করে দেন বলে অভিযোগ। তাঁরা সাফ জানিয়েছেন, নতুন করে বিল্ডিং করতে হবে। কোনও রকম সংস্কার চলবে না। ৩০ বছরের বেশি বয়স স্কুল বিল্ডিংয়ের। পলেস্তেরা উঠে গিয়েছে। দেওয়ালের অবস্থা জরাজীর্ণ। এটা মেরামত করলে যে কোন প্রাকৃতিক দুর্যোগে স্কুল বাড়ি ভেঙে পড়বে। তাই তাঁরা বাধা দিয়ে কাজ বন্ধ করে দিয়েছেন বলে দাবি করেছেন।

প্রতিমা সাহা নামের এক অভিভাবক বলেছেন, “বালিতে সিমেন্ট দেয়নি। এ ভাবে মেরামতি চাইছি না। মেরামতির কাজ খুব খারাপভাবে হচ্ছে। তাই আমরা চাইছি মেরামতি নয়, নতুন ভাবে তৈরি করা হোক স্কুল বিল্ডিং।” যদিও এ ব্যাপারে স্কুল কর্তৃপক্ষ কোনও মন্তব্য করতে চাননি।

Next Article