হুগলি, ঝাড়গ্রাম, মেদিনীপুর-দুর্গাপুর: শাক-সবজির অগ্নিমূল্যের জেরে বিগত কয়েক সপ্তাহ ধরেই নাভিশ্বাস উঠছে আম-আদমির। প্রশ্নের মুখে পড়েছিল টাস্ক-ফোর্সের ভূমিকা। উদ্বিগ্ন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। ইতিমধ্যেই সংশ্লিষ্ট বিভাগের আধিকারিক সহ টাস্ক ফোর্স, বাজার কমিটির লোকজনের সঙ্গে বৈঠকও করে ফেলেছেন মমতা। দ্রুত যাতে লাগামছাড়া দাম নিয়ন্ত্রণে আনা যায় সেই নির্দেশও দেওয়া হয়। কালোবাজারি রুখতেও কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশও এসেছে। বৈঠকের ২৪ ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই গোটা রাজ্যব্যাপী শুরু হয়ে গেল অভিযান। মাঠে নামলেন প্রশাসনিক কর্তারা। দুর্গাপুর থেকে মেদিনীপুর। সর্বত্র চলল অভিযান। কাঁকসার পানাগড় বাজারে পুলিশ ও কৃষি দফতরের আধিকারিককে সঙ্গে নিয়ে অভিযান চালাতে দেখা গেল কাঁকসার বিডিও-কে। সঠিক দামে শাক-সবজি বিক্রি হচ্ছে কি না তা খতিয়ে দেখেন। ওজন মাপার মেশিনগুলি ঠিকঠাক আছে কিনা সে বিষয়েও খতিয়ে দেখেন। গড়মিল দেখলেই দ্রুত নেওয়া হয় ব্যবস্থা।
একই ছবি বীরভূমের বোলপুরেও। বুধবার বীরভূমের বোলপুর হাটতলাতে জেলার এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চ বোলপুর থানার পুলিশকে নিয়ে অভিযান চালায়। বোলপুরের হাটতলাতে আলু, পেঁয়াজের আড়তে চলে অভিযান। অভিযান চলল পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার নানা প্রান্তেও। চন্দ্রকোনা রেগুলেটেড মার্কেট সহ জেলার বিভিন্ন প্রান্তের মার্কেটগুলিতে সবজির দাম-দর খতিয়ে দেখতে হাজির হতে দেখা যায় প্রশাসনের কর্তাদের।
একই ছবি ঝাড়গ্রামেও। গোপীবল্লভপুর বাজারেও জেলা প্রশাসন ও ব্লক প্রশাসনের কর্তাদের অভিযান চালাতে দেখা যায়। মূলত গোপীবল্লভপুর মার্কেট কমপ্লেক্সের সবজি মার্কেটে চলে অভিযান। ছিলেন ঝাড়গ্রাম জেলার একাধিক আধিকারিক, ব্লকের সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক-সহ গোপীবল্লভপুর থানার আইসি।
একই ছবি হুগলিতেও। শেওড়াফুলি থেকে শ্রীরামপুর, চুঁচুড়া, সর্বত্রই চলল অভিযান। চুঁচুড়া খরুয়া বাজার, মল্লিক কাশেম হাট, শেওড়াফুলি পাইকারি বাজারে অভিযান নামতে দেখা গেল ক্রেতা সুরক্ষা দফতর, কৃষি বিপণন দফতর, বাজার কমিটির আধিকারিকদের।