ব্যান্ডেল স্টেশন যে বন্ধ থাকবে, সেই বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছিল রেলের তরফ থেকে। শুক্রবার থেকে টানা তিন দিন বন্ধ থাকবে এই স্টেশন। আর তার প্রভাব পড়েছে গোটা বাংলা জুড়ে। বাতিল করা হয়েছে একগুচ্ছ দূরপাল্লার ট্রেন। তবে তার থেকেই বেশি প্রভাব পড়েছে লোকাল ট্রেন পরিষেবা ব্যাহত হওয়ায়। প্রতিদিন কর্মস্থলে যাওয়ার জন্য যাঁদের ট্রেন ধরতে হয়, তাঁরা সকাল থেকে কার্যত নাজেহাল। শুধু তো ব্যান্ডেল স্টেশন নয়, অন্য়ান্য স্টেশনেও প্রভাব পড়েছে। যে সব ট্রেন ব্যান্ডেলের ওপর দিয়ে যায়, সেগুলি হয় বাতিল করা হয়েছে, না হয় রুট পরিবর্তন করা হয়েছে। তাই গন্তব্যে পৌঁছতে সকাল থেকে হয়রান হতে হচ্ছে যাত্রীদের।
এরকমই একটি ট্রেন ব্যান্ডেল- নৈহাটি লোকাল। শুক্রবার থেকে বন্ধ সেই ট্রেন। ফলে নিত্যযাত্রীদের এখন একমাত্র ভরসা বিভিন্ন ফেরিঘাট। ফলে ফেরিঘাটগুলির ওপর বাড়তি চাপ পড়েছে। নৈহাটি ফেরিঘাটে উপচে পড়ছে যাত্রীসংখ্যা। ফেরিঘাট কর্তৃপক্ষ বেশি করে লঞ্চ চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। নৈহাটি স্টেশন থেকে মোট ১০ জোড়া ট্রেন যাতায়াত করত ব্যান্ডেল পর্যন্ত। ফলে সেই সব ট্রেনের যাত্রীরা সমস্যায় পড়েছেন।
শুধু তো নিত্যযাত্রী নয়, প্রভাব পড়েছে ব্যবসাতেও। বিশেষত কাটোয়া- ব্যান্ডেল লাইনে বহু ব্যবসায়ী যাতায়াত করেন। তাঁদেরও সমস্যার মুখে পড়তে হচ্ছে। এলাকার ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, লোকজন স্টেশনে কম যাতায়াত করছে বলে ব্যবসাও হচ্ছে না ঠিক মতো।
যাত্রীদের মধ্যে অনেকেই কাটোয়া বা নৈহাটি স্টেশনে সকাল থেকে বসে আছেন। কতক্ষণে ট্রেন আসবে জানা নেই তাঁদের। নদী পেরিয়ে যাওয়া ছাড়া আর কোনও রাস্তা নেই তাঁদের কাছে। ট্রেনের রুট পরিবর্তন হওয়া জন্য কাউকে কাউকে ১০- ১২ কিলোমিটার পর্যন্ত ঘুরে নির্দিষ্ট স্টেশনে পৌঁছতে হবে। সকাল থেকে তাপমাত্রা তুলনামূলকভাবে বেশি থাকায় অস্বস্তিও বাড়ছে যাত্রীদের। ঘেমে নেয়ে পাড়ি দিতে হচ্ছে অনেক বেশি পথ।
মূলত দুটি কারণে বন্ধ রাখা হয়েছে ব্যান্ডেল স্টেশন। রুট রিলে ইন্টারলকিং সিস্টেম বাতিল করে নতুন ব্যবস্থা করা হবে ও মগরা পর্যন্ত তৃতীয় লাইন সম্প্রসারণের কাজ হবে। সেই কারণে শুক্রবার অর্থাৎ ২৭ মে থেকে ২৯ মে পর্যন্ত ব্যাহত হবে রেল পরিষেবা।