বাঁকুড়া: দক্ষিণপূর্ব রেলের বিষ্ণুপুর স্টেশন লাগোয়া ৬০ নম্বর জাতীয় সড়কে চালু হয়েছে উড়ালপুল। আর তাতেই সমস্যায় পড়েছেন রেললাইনের অপর পাড়ে থাকা ১০ থেকে ১২টি গ্রামের মানুষ। স্কুল-কলেজ থেকে দোকান বাজার যেতে হলেও ঘুরে যেতে হচ্ছে প্রায় দেড় কিলোমিটার। উড়ালপুল দিয়ে যেতে গিয়ে বেড়েছে দুর্ঘটনার আশঙ্কা। এই পরিস্থিতিতে রেল লাইন পারাপারের জন্য বিকল্প রাস্তার দাবিতে বিষ্ণুপুর স্টেশনের টিকিট কাউন্টারের সামনে বসে বিক্ষোভে সামিল হলেন এলাকার ১০ থেকে ১৩ টি গ্রামের মানুষ। গ্রামবাসীদের এই বিক্ষোভকে ঘিরে সাময়িক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে বিষ্ণুপুর স্টেশন চত্বরে। পরিস্থিতি সামাল দিতে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় রেল ও রাজ্য পুলিশের বিশাল বাহিনী।
দক্ষিণ-পূর্ব রেলের বিষ্ণুপুর স্টেশনের অদূরেই রেল পথকে আড়াআড়ি ছেদ করেছে ৬০ নম্বর জাতীয় সড়ক। এতদিন রেলপথ পারাপার করার জন্য ছিল লেভেল ক্রসিং। সম্প্রতি সেই জায়গায় উড়াল পুল তৈরি হওয়ায় রেলের তরফে লেভেল ক্রসিং দিয়ে যাতায়াত বন্ধ করে দেওয়া হয়। আর তাতেই সমস্যায় পড়েন রেল লাইনের অপর পাড়ে থাকা দ্বাদশ বাড়ি, কাঁটাবাড়ি, বনকাটি, ঝরিয়া, সেনডাঙ্গা সহ ১০-১২টি গ্রামের মানুষ। শিক্ষা থেকে স্বাস্থ্য, চাকরি থেকে বিনোদন, এমনকি দৈনন্দিন প্রয়োজনে লাইনের অপর পাড়ে থাকা বিষ্ণুপুর শহরের উপর নির্ভরশীল এই সব গ্রামের লোকজন। কিন্তু, রেল ক্রসিং বন্ধ হয়ে যাওয়ায় এখন উড়ালপুল দিয়ে প্রায় দেড় কিলোমিটার ঘুরপথে তাঁদের পৌঁছাতে হচ্ছে বিষ্ণুপুর শহরে। তাতেই তাঁদের মধ্যে বাড়ছে ক্ষোভ।
গ্রামের লোকজনদের দাবি, তাড়াহুড়ো করে উড়ালপুল দিয়ে যাতায়াত করতে গিয়ে স্কুল কলেজগামী ছাত্র-ছাত্রী থেকে সাধারণ মানুষকে প্রায়শই পড়তে হচ্ছে দুর্ঘটনার কবলে। বাধ্য হয়ে অনেকেই জীবনের ঝুঁকি নিয়ে রেল লাইনের উপর দিয়েই যাতায়াত করছেন। অবিলম্বে এই সমস্যা সমাধান করতে লাইন পারাপারের বিকল্প রাস্তা তৈরি না হলে আগামীদিনে আরো বৃহত্তর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বিক্ষোভকারীরা।