বাঁকুড়া: বর্ষবরণের রাত্রিবেলা লাগাতার দুর্ঘটনার খবর প্রকাশ্যে এসেছে। জেলার বিভিন্ন জায়গা থেকে হয় গতির বলির খবর সামনে এসেছে। এবারও সেই একই ঘটনার পুনরায়। তবে গতি নয়, গাড়ির জোড়াতালি দেওয়া চাকাই কেড়ে নিল একসঙ্গে চারজনের প্রাণ।
গতকাল রাত্রিবেলা বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুর থানার জয়কৃষ্ণপুরে ধান বোঝাই লরি উল্টে মৃত্যু হয় চার শ্রমিকের। আহত হন আরও দু’জন। সূত্রের খবর, বাঁকুড়ার তালডাংরা এলাকা থেকে একটি লরি ধান বোঝাই করে বর্ধমানের দিকে যাচ্ছিল। বোঝাই ধানের উপরে বসে ছিলেন চার শ্রমিক। গাড়ির কেবিনে চালক সহ ছিলেন আরও তিনজন। জয়কৃষ্ণপুরের কাছাকাছি আসতেই আচমকা চলন্ত লরির সামনের বাম দিকের চাকা ফেটে যায়। এরপর বোঝাই গাড়ির আর নিয়ন্ত্রণ রাখতে পারেনি চালক। গাড়িটি সোজা রাস্তায় প্রায় পঞ্চাশ মিটার যাওয়ার পর রাস্তা থেকে নেমে উল্টে যায়। বোঝাই ধানের বস্তায় চাপা পড়ে যান চার শ্রমিক। গুরুতর আহত অবস্থায় গাড়িটির মোট ৬ জন আহতকে উদ্ধার করে বিষ্ণুপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে নিয়ে গ্রলে চারজনক্র মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা।
স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, ধান বোঝাই গাড়িটির বেপরোয়া গতি ছিল না। চাকায় জোড়াতালি দিয়ে কোনও ভাবে গাড়িটি চালানো হচ্ছিল। সেই জোড়াতালি দেওয়া চাকা ফেটেই বিপত্তি ঘটেছে। পুলিশ ইতিমধ্যেই মৃতদেহগুলি ময়না তদন্তের জন্য বিষ্ণুপুর জেলা হাসপাতালে পাঠিয়েছে। ময়না তদন্তের পর দেহগুলি পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হবে বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে। এ দিকে, এই ঘটনায় আহত আরও দুই শ্রমিক এখনো চিকিৎসাধীন। ঘটনার পর থেকেই চালক পলাতক।
তপন দিয়াশি নামে এক এলাকাবাসী বলেন, “প্রায়শই দুর্ঘটনা ঘটছে। রাত্রিবেলা চালক প্রচণ্ড জোরে গাড়ি চালাচ্ছে। এর আগে দোকান ভেঙে ফেলা হয়েছে। নিয়ন্ত্রণহীন গতিতে চলার জন্য বাড়ি ভেঙে গিয়েছে। একটা বাম্পার নেই কিছু নেই। এই ঘটনা যদি দিনের বেলা ঘটত তাহলে আরও বড় কোনও ক্ষতি হতে পারত।”