TMC Leader Murder: ভোটের আগে বদলার আগুনেই শেষ TMC নেতা সেকেন্দার? দুই ছেলেকে নিয়ে কিসের প্রতিশোধ নিতে চাইছিল নাসিম? শ্রীঘরে ৩ জনই
TMC Leader Murder: সোমবার রাত ন'টা নাগাদ বড়জোড়া থানার পখন্না থেকে বাইকে চড়ে সোনামুখী থানার চকাই গ্রামে নিজের বাড়িতে ফেরার পথে চকাই গ্রামের অদূরে দুস্কৃতিদের গুলিতে ঝাঁঝরা হয়ে যায় চকাই গ্রামের তৃণমূল বুথ সভাপতি সেকেন্দার খানের দেহ। ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়।

সোনামুখী: বাঁকুড়ার সোনামুখী থানার চকাই গ্রামে তৃণমূল নেতা সেকেন্দার খান খুনের ঘটনায় নাসিম শেখের দুই ছেলেকে গ্রেফতারের পর মঙ্গলবার রাতে মূল অভিযুক্ত নাসিম শেখকেও গ্রেফতার করল পুলিশ। বিশেষ সূত্রে খবর পেয়ে পুরুলিয়ার মানবাজার থানা এলাকায় নাসিমের এক বন্ধুর বাড়ি থেকে তাঁকে গ্রেফতার করে সোনামুখী থানার পুলিশ। রাতভর জিজ্ঞাসাবাদ করার পর এদিন ধৃতকে তোলা হবে বিষ্ণুপুর মহকুমা আদালতে।
সোমবার রাত ন’টা নাগাদ বড়জোড়া থানার পখন্না থেকে বাইকে চড়ে সোনামুখী থানার চকাই গ্রামে নিজের বাড়িতে ফেরার পথে চকাই গ্রামের অদূরে দুস্কৃতিদের গুলিতে ঝাঁঝরা হয়ে যায় চকাই গ্রামের তৃণমূল বুথ সভাপতি সেকেন্দার খানের দেহ। ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়। মঙ্গলবার সেকেন্দার খানের দেহের ময়না তদন্ত করানো হয় বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজে। জানা গিয়েছে ওই তৃণমূল নেতার দেহে মোট তিনটি গুলির আঘাতের চিহ্ন মিললেও তাঁর শরীর থেকে দু’টি বুলেট উদ্ধার হয়েছে। বুলেটগুলি দেখে পুলিশের প্রাথমিক অনুমান সবক’টি বুলেটই চালানো হয়েছে ৭.৬৫ মিলিমিটার বোরের অটোমেটিক একটি রিভলবারের সাহায্যে। এদিকে মঙ্গলবারই পরিবারের তরফে অভিযোগ পেয়ে দুপুরে এই ঘটনায় গ্রেফতার করা হয় ওই গ্রামেরই বাসিন্দা নাসিম শেখের দুই ছেলে হাসিম শেখ ও ইব্রাহিম শেখকে।
মঙ্গলবারই ধৃত ২ ভাইকে বিষ্ণুপুর মহকুমা আদালতে পেশ করে ১০ দিনের পুলিশ হেফাজতের আবেদন জানায় পুলিশ। আদালত সেই আবেদন মঞ্জুর করে। এদিকে মৃতের পরিবারের অভিযোগ দায়েরের পর থেকেই মূল অভিযুক্ত নাসিম শেখের খোঁজে শুরু হয় তল্লাশি। রাতেই বিশেষ সূত্রে খবর পেয়ে পুরুলিয়ার মানবাজার থানা এলাকার একটি গ্রামে নাসিমের এক বন্ধুর বাড়িতে হানা দেয় পুলিশ। সেখান থেকে গ্রেফতার করা হয় নাসিম শেখকে। এদিন ধৃতকে বিষ্ণুপুর মহকুমা আদালতে পেশ করে তাঁকেও নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানাতে চলেছে পুলিশ। তবে ঘটনার পর প্রায় দেড় দিন পেরিয়ে গেলেও এখনও খুনে ব্যবহৃত আগ্নেয়াস্ত্রটির সন্ধান পায়নি পুলিশ। ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করে ওই আগ্নেয়াস্ত্রের খোঁজ চালানোর পাশাপাশি সেটি কীভাবে দুস্কৃতিদের হাতে পৌঁছাল তা জানার চেষ্টা চালানো হচ্ছে।
কিন্তু সেকেন্দার খানকে খুনের কারণ নিয়ে এখনও রহস্য কাটেনি। প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে মাস ৬ আগে তৃণমূলের গোষ্ঠী সংঘর্ষের সময় চকাই গ্রামে নাসিম শেখকে লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়। ঘটনায় আহত হয়েছিলেন নাসিম শেখ। অভিযোগ উঠেছিল সেই গুলি চালিয়েছিল মৃত সেকেন্দার খান। সেসময় সেকেন্দার খান গ্রেফতারও হন। সম্প্রতি সেকেন্দার জেল থেকে ছাড়া পেতেই সেই ঘটনারই বদলা নিতে নাসিম শেখ ও তার অনুগামীরা সেকেন্দার খানকে খুনের পরিকল্পনা করে।
