AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Bankura: লক্ষ্মীর ভান্ডারটা কি আর পাবেন? SIR ফর্ম ফিল আপের পর থেকেই এখন প্রহর গুনছেন ওঁরা

SIR In WB: বাঁকুড়ার ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের পাটপুর এলাকার বাসিন্দা আরতি সহিস। বছর আটান্নর ওই বাসিন্দার পরিবারে সব মিলিয়ে ৬ জন ভোটার। সারা রাজ্যে এসআইআর প্রক্রিয়া শুরু হলে পরিবারের সকলের সঙ্গে এনুমারেশন ফর্ম পূরণ করেছেন আরতি সহিস। কিন্তু নির্বাচন কমিশনের তরফে খসড়া তালিকা প্রকাশিত হওয়ার পর আরতি সহিস দেখেন পরিবারের অপর ৫ জনের নামে সেই তালিকায় থাকলেও নিজের নাম নেই।

Bankura: লক্ষ্মীর ভান্ডারটা কি আর পাবেন? SIR ফর্ম ফিল আপের পর থেকেই এখন প্রহর গুনছেন ওঁরা
আরতি সহিস Image Credit: TV9 Bangla
| Edited By: | Updated on: Dec 22, 2025 | 2:16 PM
Share

বাঁকুড়া: দিব্যি হেঁটে চলে বেড়াচ্ছেন। রাজ্যে এসআইআর শুরু হতে নিয়ম মেনে পূরণ করেছিলেন এনুমারেশন ফর্মও। কিন্তু এসআইআর-এর খসড়া তালিকা বের হতেই মৃতের তালিকায় ঠাঁই হল বাঁকুড়া শহরের ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের পাটপুর এলাকার বাসিন্দা আরতি সহিসের। এই পরিস্থিতিতে আদৌ তিনি ভোট দিতে পারবেন কিনা বা রেশন ও লক্ষ্মীর ভান্ডারের মতো সরকারি প্রকল্পের সুবিধা অব্যাহত থাকবে কিনা তা নিয়ে চরম উদ্বেগে দিন কাটছে পরিবারের। ঘটনা নিয়ে দোষারোপ পাল্টা দোষারোপ শুরু হয়েছে তৃণমূল ও বিজেপির।

বাঁকুড়ার ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের পাটপুর এলাকার বাসিন্দা আরতি সহিস। বছর আটান্নর ওই বাসিন্দার পরিবারে সব মিলিয়ে ৬ জন ভোটার। সারা রাজ্যে এসআইআর প্রক্রিয়া শুরু হলে পরিবারের সকলের সঙ্গে এনুমারেশন ফর্ম পূরণ করেছেন আরতি সহিস। কিন্তু নির্বাচন কমিশনের তরফে খসড়া তালিকা প্রকাশিত হওয়ার পর আরতি সহিস দেখেন পরিবারের অপর ৫ জনের নামে সেই তালিকায় থাকলেও নিজের নাম নেই। এরপর বুথের মৃতদের তালিকা খুঁজে সেই তালিকায় নিজের নাম দেখতে পান আরতি সহিস। এই ঘটনায় বাকরুদ্ধ হয়ে পড়েন তিনি ও তাঁর পরিবার। ভোটাধিকার হারানোর পাশাপাশি বিভিন্ন সরকারি প্রকল্পের সুবিধা থেকে বঞ্চিত হওয়ার আশঙ্কাও তাড়া করে বেড়াচ্ছে গোটা পরিবারকে।

এদিকে জলজ্যান্ত আরতি কীভাবে স্থান পেলেন কমিশনের তরফে প্রকাশিত মৃতদের তালিকায় তা নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। বাঁকুড়া পুরসভার ১৭ নং ওয়ার্ডের তৃনমূল কাউন্সিলর বন্দনা লোহারের বক্তব্য, এর সব দায় নির্বাচন কমিশনের। এভাবে ভুয়ো ভোটারের তত্ত্বকে প্রতিষ্ঠা করতেই কমিশন জীবিত মানুষকে মৃত দেখিয়েছে বলে দাবি তৃণমূলের। আরতি বলেন, “আমরা সরকারের কাছ থেকে যে সুযোগ সুবিধা পাই, রেশন পাই, লক্ষ্মীর ভান্ডার পাই, সেগুলো আর পাব কিনা, তা নিয়ে সংশয় রয়েছে।”

অন্যদিকে বিজেপি বিধায়ক নীলাদ্রি শেখর দানা এই ঘটনার সব দায় ঠেলেছে রাজ্যের দিকে। তাঁর দাবি, রাজ্য সরকার বিএলও নিয়োগ করেছে। তাই এর দায় রাজ্যকেই নিতে হবে। তাঁর মন্তব্য, বিএলও র ভুলে এমন ঘটনা ঘটে থাকে কমিশন ওই বিএলও র বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ করবে।

আরতির মতো আরও অনেকেই এরকমভাবে খসড়া তালিকায় মৃত বলে দেখানো হয়েছে। রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে এহেন অভিযোগ উঠছে। তাতে এই গোটা বিষয়টির দায় কমিশনের ঘাড়েই চাপাচ্ছে শাসকদল।