Dumping Ground: দগদগে বেলগাছিয়ার ক্ষত! উদ্বেগের মধ্যেই রাজ্যের আর এক প্রান্তে সাড়ে ৩ কোটি টাকায় তৈরি হচ্ছে সুবিশাল ডাম্পিং গ্রাউন্ড, যুদ্ধকালীন তৎপরতায় শুরু কাজ

Hirak Mukherjee | Edited By: জয়দীপ দাস

Mar 30, 2025 | 11:41 AM

Dumping Ground: সালটা ১৮৮৬। ব্রিটিশ আমলেই পথ চলা শুরু এই পৌরসভার। তারপর পেরিয়ে গিয়েছে প্রায় ১৪০ বছর। কিন্তু, শতাধিক বছর কেটে গেলেও আজ পর্যন্ত এই পৌরসভায় ছিল না কোনও স্থায়ী ডাম্পিং গ্রাউন্ড। স্বাভাবিকভাবেই আবর্জনা ফেলা হত শহরের বিভিন্ন জায়গায়।

Dumping Ground: দগদগে বেলগাছিয়ার ক্ষত! উদ্বেগের মধ্যেই রাজ্যের আর এক প্রান্তে সাড়ে ৩ কোটি টাকায় তৈরি হচ্ছে সুবিশাল ডাম্পিং গ্রাউন্ড, যুদ্ধকালীন তৎপরতায় শুরু কাজ
বরাদ্দ প্রায় সাড়ে তিন কোটি টাকা
Image Credit source: TV 9 Bangla

Follow Us

সোনামুখী: বেলাগাছিয়ার যন্ত্রণার ছবি ম্লান হতে না হতেই চিন্তা বাড়িয়েছিল শিলিগুড়ির ডাম্পিং গ্রাউন্ড। ওই ডাম্পিং গ্রাউন্ড সরানোর দাবিতে বিক্ষোভও দেখিয়ে ফেলেছে বিজেপি। অন্যদিকে হাওড়ার বেলগাছিয়া নিয়েও রাজনৈতিক মহলে চাপানউতোরের অন্ত নেই। যদিও খুশির খবরটা আসছে বাঁকুড়া থেকে। আবর্জনার অভিশাপ থেকে মুক্তি পেতে চলেছে সোনামুখী পৌরবাসী। সাড়ে তিন কোটি টাকা ব্যয়ে তৈরি হচ্ছে ডাম্পিং গ্রাউন্ড। করছে রাজ্য সরকার। বসছে ‘ফ্রেশ ওয়েস্ট প্রসেসিং ইউনিট’। খুশি এলাকার বাসিন্দারা।  

সালটা ১৮৮৬। ব্রিটিশ আমলেই পথ চলা শুরু এই পৌরসভার। তারপর পেরিয়ে গিয়েছে প্রায় ১৪০ বছর। কিন্তু, শতাধিক বছর কেটে গেলেও আজ পর্যন্ত এই পৌরসভায় ছিল না কোনও স্থায়ী ডাম্পিং গ্রাউন্ড। স্বাভাবিকভাবেই আবর্জনা ফেলা হত শহরের বিভিন্ন জায়গায়। তা নিয়ে এলাকার বাসিন্দাদের যন্ত্রণার শেষ ছিল না। দুর্গন্ধের সমস্যা তো ছিলই সেই সঙ্গে সংক্রামক রোগ-জীবাণুর ভয় তো লেগেই রয়েছে। এলাকার বাসিন্দারা বলছেন, সমস্যার কথা জানিয়ে ডাম্পিং গ্রাউন্ড তৈরির জন্য তাঁরা বারবার আবেদন করেছেন প্রশাসনের কাছে। অবশেষে মিলেছে সাড়া। 

পশ্চিমবঙ্গ সরকারের পুর ও নগর উন্নয়ন দফতরের পক্ষ থেকে সোনামুখী পৌরসভায় ডাম্পিং গ্রাউন্ডের জন্য সাড়ে তিন কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। সেই টাকা দিয়ে সোনামুখী পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের আদকবাজার সংলগ্ন এলাকায় ৬ একর ৪৪ শতক জায়গায় যুদ্ধকালীন তৎপরতায় শুরু হয়েছে একটি সুবিশাল ডাম্পিং গ্রাউন্ড তৈরির কাজ। এই ডাম্পিং গ্রাউন্ডে বসছে ‘ফ্রেশ ওয়েস্ট প্রসেসিং ইউনিট’। এই ইউনিটের মাধ্যমেই শহরের আবর্জনা গুলি জৈব সারে রূপান্তরিত হবে। সেই জৈব সার স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলারা বিক্রি করবেন কৃষকদের কাছে। ফলে ডাম্পিং গ্রাউন্ডকে কেন্দ্র করে কিছু কর্মসংস্থানও হবে বলে আশা পুরসভার। দেরিতে হলেও শেষ পর্যন্ত ডাম্পিং গ্রাউন্ড এর কাজ শুরু হওয়ায় খুশি সোনামুখীর বাসিন্দারা। 

Next Article