বাঁকুড়া: বসবাসের জন্য রয়েছে প্রাসাদোপম বাড়ি। তবু নাম ছিল আবাস যোজনার তালিকায়। সমীক্ষা শুরু হতেই হঠাৎ আর্জি তৃণমূল নেতার। সরিয়ে দেওয়া হোক নাম। চাই না আবাসের বাড়ি। লিখিতভাবে সেই আবেদন জানালেন তৃণমূল নেতা। বিষয়টাকে তৃণমূল সততার নজির বলে বর্ণনা করলেও, বিজেপির কটাক্,ষ জনরোষের ভয়েই তড়িঘড়ি এমন কাণ্ড ঘটালেন তৃণমূল নেতা।
এক ভাই তৃণমূলের অঞ্চল সহ সভাপতি। অপর ভাই দলেরই অঞ্চলের কোর কমিটির সদস্য। দুই ভাই একসঙ্গেই থাকেন। বসবাসের জন্য রয়েছে তাঁদের প্রাসাদোপম দোতলা বাড়ি। কিন্তু তারপরেও আবাস তালিকায় নাম ছিল পরিবারের! সম্প্রতি শুরু হয়েছে সমীক্ষা। আর তারপরই স্বতঃপ্রণোদিতভাবে আবাসের বাড়ি না নেওয়ার জন্য স্থানীয় বিডিও অফিসে আবেদন জানিয়েছে ওই পরিবার। বাঁকুড়ার পাত্রসায়র ব্লকের বালসী ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের পানপুকুর মাঝি পাড়ায় রয়েছে ওই দুই নেতার বাড়ি।
নিমাই মাঝি তৃণমূলের অঞ্চল সহ সভাপতি ও আর তাঁর ভাই আনন্দ মাঝি তৃণমূলের অঞ্চল কোর কমিটির সদস্য। সম্প্রতি ওই প্রকল্পের উপভোক্তা তালিকা থেকে নাম বাদ দেওয়ার কথা বলেন দুই ভাই। পাত্রসায়র বিডিও অফিসে লিখিতভাবে আবেদনও জানান আনন্দ মাঝি। তাঁদের দাবি, বছর পাঁচেক আগে যখন আবাসের সমীক্ষা হয়েছিল, তখন তাঁদের পাকা বাড়ি ছিল না। পরবর্তীতে তাঁরা পাকা বাড়িটি তৈরি করেছেন। তাই এখন নাম সরিয়ে নিতে চাইছেন।
বালসী ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতে প্রধান বুদ্ধদেব পাল বলছেন, অপর একটি দরিদ্র পরিবার যাতে ওই বাড়ি পেতে পারে, সেই জন্যই ওই তৃণমূল নেতার পরিবার বাড়ি ফিরিয়ে দিয়েছে। এই ঘটনা সততার নজির হয়ে থাকবে। বিজেপি অবশ্য এই ঘটনাকে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি। বিজেপি নেতৃত্ব সন্দেহ প্রকাশ করছে। দলের মুখপাত্র দেবপ্রিয় বিশ্বাস প্রশ্ন তুলেছেন, পাঁচ বছর আগে যে পরিবার কাঁচাবাড়িতে বসবাস করতেন, পাঁচ বছরের মধ্যে কোন যাদুবলে এমন প্রাসাদোপম বাড়ি তৈরি করতে পারেন! তদন্ত হওয়া প্রয়োজন বলে মনে করছেন তিনি। একইসঙ্গে বিজেপির দাবি এখন জনরোষে পড়ার ভয়েই আবাস বাড়ি ফেরানোর আবেদন জানাতে বাধ্য হচ্ছেন ওই তৃণমূল নেতা।