বাঁকুড়া: হাসপাতালে বেড নেই। তাই রোগী ভর্তি থাকার বালাই নেই। বেলা ২টো পর্যন্ত চলে আউটডোর। চিকিৎসক, চিকিৎসাকর্মীরা ছাড়াও হাসপাতালে আনাগোনা করেন রোগীরা। কিন্তু সেই ভিড় হালকা হতেই হাসপাতাল চলে যায় দুষ্কৃতীদের দখলে। সধারণের চোখের আড়ালে দেদার মদ্যপানের আসর বসায় সমাজবিরোধীরা। আতঙ্কে কাঁটা হয়ে থাকেন স্বাস্থ্যকর্মী থেকে হাসপাতাল কর্মীরা। ঘটনা বাঁকুড়া এক নম্বর ব্লকের কেঞ্জাকুড়া প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রের।
স্বাস্থ্যের ব্যাপারে বাঁকুড়া এক নম্বর ব্লকের কেঞ্জাকুড়া প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রের উপর নির্ভরশীল কেঞ্জাকুড়া সহ আশপাশের বেশ কয়েকটি গ্রাম। একসময় এই স্বাস্থ্যকেন্দ্রে চিকিৎসক সহ চিকিৎসা কর্মীদের বসবাসের জন্য হাসপাতাল চত্বরেই তৈরি হয়েছিল একাধিক কোয়ার্টার। কিন্তু বিভিন্ন কারণে দীর্ঘদিন সেই কোয়ার্টারে চিকিৎসক ও চিকিৎসা কর্মীরা বসবাস করেন না। দীর্ঘকাল অব্যবহৃত হয়ে পড়ে থাকায় ধীরে ধীরে পোড়ো বাড়িতে পরিণত হয়েছে কোয়ার্টারগুলি। দরজা জানালা চুরি হয়ে গিয়েছে। কোয়ার্টারগুলি কার্যত ঢাকা পড়ে গিয়েছে আগাছার জঙ্গলে। আর তার সুযোগ নিয়েই কোয়ার্টারগুলিতে গজিয়ে উঠেছে দুষ্কৃতীদের আড্ডা। স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, “খুব খারাপ অবস্থা। রাতে জুয়ার আসর বসে। কত রকম মদ খায়।”
দুপুরের পরে হাসপাতাল চত্বরে রোগীর ভিড় কমতেই আনাগোনা বাড়তে থাকে এলাকার মদ্যপ সমাজবিরোধীদের। ঝোপঝাড়ে ঢাকা ভগ্নপ্রায় কোয়ার্টারে নিশ্চিন্তে বসে মদের আসর। এই পরিস্থিতিতে চূড়ান্ত নিরাপত্তাহীনতায় ভোগেন হাসপাতালে কর্মরত চিকিৎসক ও স্বাস্থ্য কর্মীরা। তাঁদের দাবি যেভাবে ধীরে ধীরে হাসপাতাল চত্বরে সমাজবিরোধীদের উৎপাত বাড়ছে। তাতে যে কোনও দিন বড় কোনও ঘটনা ঘটতে পারে। আগে হাসপাতালে এক সিভিক কর্মী মোতায়েন থাকলেও আদালতের নির্দেশে সেই সিভিক কর্মীকে সরানো হলেও হাসপাতালে নতুন করে পুলিশ মোতায়েন হয়নি।
বাঁকুড়া ডেপুটি মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক সজল বিশ্বাস বলেন, “এটা দুর্ভাগ্যের বিষয় যে কোয়ার্টারের অবস্থা খারাপ। চারপাশে বাউন্ডারিওয়াল নেই সেই কারণে নিরাপত্তা বিঘ্নিত হচ্ছে। এই মুহূর্তে গোটা বিষয়টি প্রশাসনকে জানাতে বলব। অন্তত সেই জায়গার নিরাপত্তা যাতে দ্রুত বাড়ে সেই চেষ্টা করছি।”