Bankura: যখন তখন বাড়িতে লাগছে আগুন, পুড়ে খাক বালিশ-বিছানা! অবিশ্বাস্য ঘটনার কাছে ‘হার মানল’ বিজ্ঞান মঞ্চ

TV9 Bangla Digital | Edited By: শর্মিষ্ঠা চক্রবর্তী

Aug 05, 2024 | 2:17 PM

Bankura: বাঁকুড়ার সিমলাপাল ব্লকের জামবেদিয়া গ্রামের একচিলতে টিনের চালের মাটির বাড়ি তপন লোহারের। সেই বাড়িই ভাগ করে থাকেন তপন লোহার ও তাঁর ভাই সঞ্জয় লোহারের পরিবার। সপ্তাহ দুই আগে আচমকাই বাড়ির রান্নাঘরের একাংশে আগুন জ্বলতে দেখেন পরিবারের সদস্যরা।

Bankura: যখন তখন বাড়িতে লাগছে আগুন, পুড়ে খাক বালিশ-বিছানা! অবিশ্বাস্য ঘটনার কাছে হার মানল বিজ্ঞান মঞ্চ
বাঁকুড়ায় তপন লোহারের বাড়িতে যখন তখন জ্বলছে আগুন
Image Credit source: TV9 Bangla

Follow Us

বাঁকুড়া: যখন তখন বাড়ির ভিতর জ্বলে উঠছে আগুন।  আগুনে পুড়ে যাচ্ছে জামাকাপড়, বিছানা, বাড়িতে রাখা পলিথিন। কিন্তু কেন, কোথা থেকে আগুন জ্বলছে, ঠাওর করতে পারছেন না বাড়ির সদস্যরাই। ডাকা হয়েছে দমকল, এসেছেন বিজ্ঞান মঞ্চের সদস্যরা, কেউই এখনও পর্যন্ত কিছু বুঝতে পারেননি। আগুন তবে লাগছে কোথা থেকে, প্রতিবেশীদের কাছেও সেটা আশ্চর্যের! তাই বাঁকুড়ার সিমলাপাল ব্লকের জামবেদিয়া গ্রামের তপন লোহারের বাড়িতে রহস্য়ময় আগুন দেখতে ভিড় জমান পড়শিরা।

বাঁকুড়ার সিমলাপাল ব্লকের জামবেদিয়া গ্রামের একচিলতে টিনের চালের মাটির বাড়ি তপন লোহারের। সেই বাড়িই ভাগ করে থাকেন তপন লোহার ও তাঁর ভাই সঞ্জয় লোহারের পরিবার। সপ্তাহ দুই আগে আচমকাই বাড়ির রান্নাঘরের একাংশে আগুন জ্বলতে দেখেন পরিবারের সদস্যরা। প্রথমে পরিবারের লোকজন ভেবেছিলেন রান্নায় গ্যস লিক করে আগুন লেগেছে। ব্যাপারটায় গুরুত্ব না দিয়ে তড়িঘড়ি আগুন নিভিয়ে ফেলেন পরিবারের লোকজন। কিন্তু কয়েক ঘণ্টা যেতে না যেতেই ফের কখনও গোয়াল ঘরে, আবার কখনও ঠাকুর ঘরে টাঙানো ক্যালেন্ডারে আগুন লেগে যায়।

এরপর থেকে কোনওদিন দিনে তিন বার, আবার কোনওদিন চারবার, বাড়ির কোথাও না কোথাও জ্বলে উঠছে আগুন। আগুনে পুড়ে নষ্ট হয়ে গিয়েছে জামাকাপড় এমনকি বিছানাও। রহস্যময় আগুনের আতঙ্কে দু চোখের পাতা এক করতে পারছেন না পরিবারের লোকজন। চাষাবাদ ছেড়ে পরিবারের সদস্যরা তাকিয়ে রয়েছেন বাড়ির কোথাও আবার হঠাৎ করে জ্বলে ওঠে আগুন। খবর পেয়ে দমকল ও ব্লক প্রশাসনের আধিকারিকরা ঘটনাস্থলে গিয়েও আগুন লাগার কারন খুঁজে পাননি।

খবর পেয়ে পশ্চিমবঙ্গ বিজ্ঞান মঞ্চের কর্মীরা ওই বাড়িতে গিয়ে পরিবারের লোকজনের সঙ্গে কথা বলেন। গোটা বাড়ি ঘুরে দেখেন। তবুও রহস্যের কিনারা করতে পারেননি কেউই। তবে তাঁদের দাবি, এই আগুন কোনও অলৌকিক ঘটনা নয়, বাড়িতে কোনও দাহ্য গ্যস উৎপন্ন হওয়ার ফলেও এই আগুন লাগছে না। কেউ বা কারা উদ্যেশ্যপ্রণোদিত ভাবে এই আগুন লাগিয়ে থাকতে পারে।

খাতড়া বিজ্ঞান কেন্দ্রের সম্পাদক অমিতাভ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “ফসফিন বা মিথেন জাতীয় কোনও গ্যাস উৎপন্ন হওয়ার ফলে আগুন লেগে থাকার মতো ঘটনা নয়। অলৌকিক বিষয় তো নয়ই। পরিবারের সদস্যদের বুঝিয়ে এসেছি, যাতে প্ররোচনায় পা না দিয়ে ওঝা-তান্ত্রিকের কাছে না যান। একবার যেখানে আগুন লাগছে, সেখানে দ্বিতীয়বার আগুন লাগছে না। আগুন লাগছে সিন্থেটিক জিনিসে। আগুন লাগছে, সেটার প্রত্যক্ষদর্শী কেউ নেই। আমরা এখনও কোনও কারণ খুঁজে পায়নি। কয়েকদিন সময় নিয়েছি।” তিনি জানিয়েছেন, তাঁরা থাকাকালীন আগুন লাগার কোনও ঘটনা ঘটেনি। আগুন যে কেউ লাগিয়ে থাকতে পারে, সে সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না বলে জানান তিনি।

Next Article