Bankura: বাড়ছে ডিভিসি-র জল ছাড়ার পরিমাণ, প্রহর গুনছে বাঁকুড়ার একাধিক গ্রাম

Hirak Mukherjee | Edited By: শর্মিষ্ঠা চক্রবর্তী

Aug 09, 2024 | 7:39 PM

Bankura: বাঁকুড়া ও পশ্চিম বর্ধমান জেলার সীমানা দিয়ে বয়ে গিয়েছে দামোদর নদ। সারা বছর এই দামোদর নদ নির্বিকার পড়ে থাকলেও প্রতি বছর বর্ষায় এই দামোদরই হয়ে ওঠে ভয়ঙ্কর। ডিভিসির দুর্গাপুর ব্যারেজ থেকে ছাড়া জলে ডুবে যায় দামোদর তীরবর্তী বাঁকুড়ার বিস্তীর্ণ এলাকা।

Bankura: বাড়ছে ডিভিসি-র জল ছাড়ার পরিমাণ, প্রহর গুনছে বাঁকুড়ার একাধিক গ্রাম
ডিভিসির জল ছাড়া
Image Credit source: TV9 Bangla

Follow Us

বাঁকুড়া:  দফায় দফায় বাড়ছে ডিভিসির ছাড়া জলের পরিমাণ। বন্যার আশঙ্কায় প্রহর গুনছে সোনামুখী ব্লকের একাধিক গ্রাম।  নিম্নচাপের বৃষ্টি ধরেছে। কিন্তু রবিবার রাতে ফের একদফা জল ছাড়ার পরিমাণ বৃদ্ধি করেছে ডিভিসির দুর্গাপুর ব্যারেজ কর্তৃপক্ষ। এর ফলে বন্যার আশঙ্কার প্রহর গুনছে বাঁকুড়ার বড়জোড়া ব্লকের মানাচর ও সোনামুখী ব্লকের সমিতি মানা ও কেনেটি মানা গ্রাম। দুর্গাপুর ব্যারেজ ও বন্যার সম্ভাবনা থাকা এলাকাগুলিতে কড়া নজরদারি চালাচ্ছে জেলা ও মহকুমা প্রশাসন। দামোদর তীরবর্তী এলাকাগুলিতে জারি করা হয়েছে হাই এলার্ট।

বাঁকুড়া ও পশ্চিম বর্ধমান জেলার সীমানা দিয়ে বয়ে গিয়েছে দামোদর নদ। সারা বছর এই দামোদর নদ নির্বিকার পড়ে থাকলেও প্রতি বছর বর্ষায় এই দামোদরই হয়ে ওঠে ভয়ঙ্কর। ডিভিসির দুর্গাপুর ব্যারেজ থেকে ছাড়া জলে ডুবে যায় দামোদর তীরবর্তী বাঁকুড়ার বিস্তীর্ণ এলাকা। চলতি বছর সম্প্রতি ঘূর্ণাবর্তের জেরে ফের দুর্গাপুর ব্যারেজ থেকে ফের জল ছাড়া শুরু করেছে ডিভিসি কর্তৃপক্ষ। দামোদরের উচ্চ অববাহিকায় থাকা বিভিন্ন জলাধার থেকে জল ছাড়া অব্যাহত থাকায় দুর্গাপুর ব্যারেজ থেকেও দফায় দফায় বৃদ্ধি করা হচ্ছে জল ছাড়ার পরিমাণ।

রবিবার রাতে আরও একদফা জল ছাড়ার পরিমাণ বৃদ্ধি করে দুর্গাপুর ব্যারেজ থেকে ১ লক্ষ ৩১ হাজার ৪৮৩ কিউসেক হারে জল ছাড়া শুরু হয়। ডিভিসি জল ছাড়ার পরিমাণ ক্রমশ বৃদ্ধি করতে থাকায় বন্যার আশঙ্কা তৈরি হয় বড়জোড়া ব্লকের মানাচর ও সোনামুখী ব্লকের দামোদর তীরবর্তী বিস্তীর্ণ এলাকায়।

প্রশাসন জানিয়েছে, সবথেকে বেশি প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে সোনামুখী ব্লকের সমিতি মানা ও কেনেটি মানা এলাকায়। ওই এলাকার মানুষকে সতর্ক থাকার জন্য লাগাতার মাইক প্রচার চালানোর পাশাপাশি তৈরি রাখা হচ্ছে অস্থায়ী ফ্লাড সেন্টার। বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হলে যাতে দ্রুত এলাকার মানুষকে উঁচু জায়গায় সরিয়ে নিয়ে যাওয়া যায় তার জন্য একাধিক ত্রাণ শিবিরের প্রস্তুতি রাখা হচ্ছে। হাই এলার্ট থাকতে বলা হয়েছে দামোদর তীরবর্তী থানা, ব্লক প্রশাসন ও সংশ্লিষ্ট গ্রাম পঞ্চায়েতগুলিকে।

এছাড়াও তৈরি রাখা হয়েছে জেলার বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীকেও। পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে দফায় দফায় এলাকায় যাচ্ছেন পুলিশ ও বাঁকুড়া জেলা প্রশাসনের আধিকারিকরা। বিকালে দুর্গাপুর ব্যারেজ ও বড়জোড়া এলাকা ঘুরে দেখেন বাঁকুড়ার জেলা শাসক ও পুলিশ সুপার। সোনামুখীর দামোদর তীরবর্তী এলাকা ঘুরে দেখেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার-সহ অন্যান্য পুলিশ আধিকারিকরা। পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে তাঁদের দাবি, পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রশাসন সবদিক থেকে তৈরি আছে। কিন্তু প্রশাসনের সেই আশ্বাসেও আতঙ্ক কাটছে না দামোদর তীরবর্তী এলাকার হাজার হাজার মানুষের।

আরও খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Tv9 বাংলা অ্যাপ (Android/ iOs)

Next Article