বাঁকুড়া: গ্রাম লাগোয়া আলুর জমি থেকে এক মহিলার রক্তাক্ত মৃতদেহ উদ্ধারের ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়াল বাঁকুড়ার কোতুলপুর থানার গৌর এলাকায়। প্রাথমিকভাবে পুলিশের অনুমান, মানসী মাঝি নামের ওই গৃহবধূকে নৃশংসভাবে কুপিয়ে খুন করা হয়েছে। পারিবারিক কলহের জের নাকি ত্রিকোণ প্রেমের জেরে খুন খতিয়ে দেখছে পুলিশ। মৃতদেহটি ময়না তদন্তের জন্য বিষ্ণুপুর জেলা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গৌর গ্রামের বাসিন্দা মানসী গ্রামেরই যুবক প্রদীপ মাঝিকে ভালোবেসে বিয়ে করেছিলেন। দুই সন্তানের মা মানসী। মানসীর বাপের বাড়ির অভিযোগ প্রায়শই পারিবারিক কারণে স্বামীর সঙ্গে ঝগড়া লেগেই থাকত মানসীর। এদিন সকালে গ্রাম লাগোয়া আলু জমির ধারে মানসীর রক্তাক্ত মৃতদেহ উদ্ধার হওয়ায় স্বাভাবিক ভাবেই স্বামীর বিরুদ্ধেই সন্দেহ তীব্র হয় বাপের বাড়ির লোকজনের।
তাঁদের দাবি, দাম্পত্য কলহের জেরেই স্বামী প্রদীপ মাঝি স্ত্রীকে ধারাল অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে খুন করে থাকতে পারে। ঘটনার পরই জিজ্ঞাসাবাদের জন্য মৃতার স্বামী প্রদীপ মাঝিকে আটক করে কোতুলপুর থানার পুলিশ। এদিকে মৃতার শ্বশুরবাড়ি অবশ্য এই খুনের পিছনে ত্রিকোণ প্রেমের তত্ত্ব এনেছেন।
মৃতার শাশুড়ির দাবি, পুত্রবধূ অন্য এক যুবকের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়েছিল। সেই এই খুন করে থাকতে পারে। মৃতদেহ উদ্ধারের পর কোতুলপুর থানায় একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। বিষ্ণুপুরের এসডিপিও সুপ্রকাশ দাসের নেতৃত্বে পুলিশ আধিকারিকরা ঘটনাস্থলে সরেজমিনে খতিয়ে দেখে। পাশাপাশি মৃতার শ্বশুর বাড়ি ও বাপের বাড়ির লোকজনের সঙ্গে কথা বলেন।