বাঁকুড়া: ফের বজ্রপাতে মৃত্যু হল এক ব্যক্তির। মৃত্যু হল এক ব্লক কর্মীর । আহতের সংখ্যা বেড়ে হল ২। মৃতের নাম বিপ্লব কর্মকার (৩১)। বাইক নিয়ে কর্মস্থল থেকে বাড়ি ফিরছিলেন তিনি।
জেলায় বাজ পড়ে মৃতের সংখ্যা ক্রমাগত বেড়েই চলেছে। কখনও মাঠে কাজ করতে গিয়ে, কখনও বা কর্মস্থল ফিরতি পথে- বাজ পড়ে মৃত্যুর বলি হচ্ছে একের পর এক। জেলার অন্যান্য দুর্ঘটনাগুলির মতো বজ্রপাতে মৃত্যু একটা অধ্যায় হয়ে দাঁড়িয়েছে। শনিবার বাজ পড়ে মৃত্যু হয় এক সরকারি কর্মচারীর।
সহকর্মী সূত্রে খবর মৃত ব্যক্তির নাম বিপ্লব কর্মকার। তিনি তালডাংড়া ব্লকের একজন কর্মী ছিলেন। তাঁর বাড়ি বিষ্ণুপুরের অযোধ্যায়। এদিন তালডাংড়া থেকে বাইক নিয়ে অফিস থেকে বাড়ির উদ্দেশে ফিরছিলেন। পথে ঝাটিবাড়ি ও কাঁটাবনির মাঝে বজ্রপাতে মৃত্যু হয়।
সহকর্মীরাই তাঁকে উদ্ধার করে বিষ্ণুপুর হাসপাতালে ভর্তি করান। ঘটনার খবর পেয়ে দ্রুত বিষ্ণুপুর হাসপাতালে যান তালডাংড়া পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি অনুসূয়া রায় এবং তালডাংড়া ব্লকের সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক সৌরভ মজুমদার।
দেহের ময়নাতদন্তের পর বিপ্লবের দেহ ওঁর পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হবে। বিপ্লবের বাড়িতে মা, অসুস্থ বাবা, স্ত্রী এবং দুই সন্তান রয়েছে। পরিবারের একমাত্র রোজগেরে ছিলেন বিপ্লবই। তালডাংরা পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি অনুসূয়া রায় মৃতের পরিবারকে সমবেদনা জানান। তার পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রীর প্রকল্পের টাকা যাতে শীঘ্রই তাঁর পরিবারের লোকজন পান, সেই ব্যবস্থা করবেন বলে জানান।
জেলায় বাজ পড়ে মৃত্যুর ঘটনা বেড়েই চলেছে। মানুষের মধ্যে সচেতনতা বাড়ানোর চেষ্টা করছেন প্রশাসনিক আধিকারিকরা।
ভারী বৃষ্টি বজ্রপাতের সময়ে যাতে মাঠে কেউ কাজ না করেন, রাস্তায় না বের হন, খোলা আকাশের নীচে, কিংবা গাছ নীচে বা টালির বাড়িতে আশ্রয় না নেন। এই বিষয়টি বারবার সচেতন করা হচ্ছে। অবশ্য জুনেই বৃষ্টির সময়ে কংক্রিটের ছাদের তলায় থেকেই বজ্রাঘাতে মৃত্যু হয়েছিল ২ জনের।
পাকা শেডের নিচে বসে থাকলেও বাজ পড়ে আহত হন তিন জন। গ্রামবাসীরা ওই তিন জনকে ইন্দপুর ব্লক প্রাথমিক হাসপাতালে নিয়ে গেলে দু’জনকে চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করেন। জুন মাসে সেই একই দিনে মৃত্যু হয়েছে ২৭ জনের। তাঁদের মধ্যে হুগলিরই ১১ জন, ৯ জন মুর্শিদাবাদের, ২ জন করে মৃত্যু হয়েছে পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর ও বাঁকুড়ায়, নদিয়া মৃত্যু হয়েছে ১ জনের। মৃতদের পরিবারকে ২ লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা ঘোষণা করে কেন্দ্র। ২ লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেয় রাজ্য সরকারও।