বাঁকুড়া: ফের ঘটনাস্থল বাঁকুড়া (Bankura)। আবারও বজ্রপাতে মৃত্যু হল এক যুবকের। আহত আরও ৫। নৌকোয় চেপে বাড়ি ফেরার সময়ে বজ্রপাতে মৃত্যু যুবকের। গুরুতর আহত ওই নৌকার তিন মাঝি-সহ আরও ২ জন। মৃত যুবকের নাম অভিজিৎ দে (৩০)। রবিবার সন্ধ্যায় ঘটনাটি ঘটেছে বিষ্ণুপুর থানা এলাকার দমদমা নৌকা ঘাটে।
স্থানীয় সূত্রে খবর, রবিবার সন্ধ্যায় পাত্রসায়রের পায়রাসোল গ্রামে স্ত্রী ও মাকে রেখে বাড়ি ফিরছিলেন অভিজিৎ দে। দ্বারকেশ্বর নদীর দমদমা ঘাটে নৌকায় নদী পেরোনোর সময় আচমকাই বজ্রপাত হয়। মৃত্যু হয় তাঁর। গুরুতর আহত হন বিষ্ণুপুরের কাটনার মির আজিজুল, বাগড়ার বাসু বাগদি, অরুপ বাগ, তেজপালের রাজু লোহার ও শান্তিপুর কলোনির কমল তফাদার।
স্থানীয়রাই গুরুতর আহত অবস্থায় ছ’জনকে বিষ্ণুপুর সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে নিয়ে যায়। চিকিৎসকরা অভিজিৎ দেকে মৃত ঘোষণা করেন। বাকিদের চিকিৎসা চলছে। উল্লেখ্য, শনিবার বাঁকুড়াতেই বজ্রপাতে মৃত্যু হয় এক সরকারি কর্মচারীর। মৃত ব্যক্তির নাম বিপ্লব কর্মকার। তিনি তালডাংড়া ব্লকের একজন কর্মী ছিলেন। তাঁর বাড়ি বিষ্ণুপুরের অযোধ্যায়। এদিন তালডাংড়া থেকে বাইক নিয়ে অফিস থেকে বাড়ির উদ্দেশে ফিরছিলেন। পথে ঝাটিবাড়ি ও কাঁটাবনির মাঝে বজ্রপাতে মৃত্যু হয়।
জেলায় বাজ পড়ে মৃতের সংখ্যা ক্রমাগত বেড়েই চলেছে। কখনও মাঠে কাজ করতে গিয়ে, কখনও বা কর্মস্থল ফিরতি পথে- বাজ পড়ে মৃত্যুর বলি হচ্ছে একের পর এক। জেলার অন্যান্য দুর্ঘটনাগুলির মতো বজ্রপাতে মৃত্যু একটা অধ্যায় হয়ে দাঁড়িয়েছে। জেলায় বাজ পড়ে মৃত্যুর ঘটনা বেড়েই চলেছে। মানুষের মধ্যে সচেতনতা বাড়ানোর চেষ্টা করছেন প্রশাসনিক আধিকারিকরা।
ভারী বৃষ্টি বজ্রপাতের সময়ে যাতে মাঠে কেউ কাজ না করেন, রাস্তায় না বের হন, খোলা আকাশের নীচে, কিংবা গাছ নীচে বা টালির বাড়িতে আশ্রয় না নেন। এই বিষয়টি বারবার সচেতন করা হচ্ছে। বশ্য জুনেই বৃষ্টির সময়ে কংক্রিটের ছাদের তলায় থেকেই বজ্রাঘাতে মৃত্যু হয়েছিল ২ জনের।
পাকা শেডের নিচে বসে থাকলেও বাজ পড়ে আহত হন তিন জন। গ্রামবাসীরা ওই তিন জনকে ইন্দপুর ব্লক প্রাথমিক হাসপাতালে নিয়ে গেলে দু’জনকে চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করেন। জুন মাসে সেই একই দিনে মৃত্যু হয়েছে ২৭ জনের। তাঁদের মধ্যে হুগলিরই ১১ জন, ৯ জন মুর্শিদাবাদের, ২ জন করে মৃত্যু হয়েছে পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর ও বাঁকুড়ায়, নদিয়া মৃত্যু হয়েছে ১ জনের। মৃতদের পরিবারকে ২ লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা ঘোষণা করে কেন্দ্র। ২ লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেয় রাজ্য সরকারও।