বাঁকুড়া: পারিবারিক অশান্তির জেরে অঙ্গনওয়াড়ি সহায়িকাকে কর্মরত অবস্থায় জঙ্গলে ডেকে নিয়ে গিয়ে শ্বাসরোধ করে খুনের অভিযোগ উঠল স্বামী সহ শ্বশুরবাড়ির লোকজনের বিরুদ্ধে। শনিবারের এই ঘটনা জানাজানি হতেই ওই গৃহবধূর বাপের বাড়ির তরফে বিষ্ণুপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে মৃতার স্বামীকে গ্রেফতারের পাশাপাশি মৃত্যুর সঠিক কারণ জানতে আজ মৃতদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজে পাঠানো হয়।
স্থানীয়ভাবে জানা গিয়েছে, বছর আটেক আগে বিষ্ণুপুর শহরের ৮ ওয়ার্ডের পিঙ্কির সঙ্গে বিয়ে হয় বিষ্ণুপুর থানার এম আই টি সংলগ্ন কামারপুকুর গ্রামের বাপি লোহারের। ওই দম্পতির বছর সাতেকের একটি শিশু সন্তানও রয়েছে। পিঙ্কি লোহারের বাপের বাড়ির অভিযোগ পারিবারিক অশান্তির জেরে দীর্ঘদিন ধরেই শ্বশুরবাড়ির লোকজন পিঙ্কির উপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করে আসছিল। শনিবার পিঙ্কি অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে রান্নার কাজ করার সময় তাঁকে পার্শ্ববর্তী জঙ্গলে ডেকে নিয়ে যায় শ্বশুরবাড়ির লোকজন।
বিকালে পিঙ্কির বাপের বাড়িতে ফোন করে জানানো হয় পিঙ্কি জঙ্গলের মধ্যে গাছে গলায় কাপড়ের ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। ঘটনার খবর শোনার পরই পিঙ্কির শ্বশুরবাড়িতে হাজির হয় বাপের বাড়ির লোকজন। বাপের বাড়ির লোকজনের দাবি, জঙ্গলে ঝুলন্ত অবস্থায় নয়, পিঙ্কির দেহ বাড়ির উঠোনে পড়ে থাকতে দেখেন তাঁরা। এতেই সন্দেহ আরও তীব্র হয়। এরপর গতকাল রাতে বিষ্ণুপুর থানায় মৃতার স্বামী সহ শ্বশুরবাড়ির লোকজনের বিরুদ্ধে পিঙ্কিকে শ্বাসরোধ করে খুনের অভিযোগ দায়ের করা হয়। রাতেই অভিযুক্ত স্বামী বাপি লোহারকে গ্রেফতার করে বিষ্ণুপুর থানার পুলিশ।