বাঁকুড়া: দাবিমতো তোলা না দেওয়ায় বেসরকারি কারখানার এক আধিকারিককে রাস্তায় ফেলে মারধরের অভিযোগ উঠল স্থানীয় তৃনমূল কর্মীর বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে বাঁকুড়ার গঙ্গাজলঘাটি থানার চৌশাল এলাকায়। কারখানা কর্তৃপক্ষের তরফে পাওয়া লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ তিন জনকে গ্রেফতার করেছে। ধৃতদের নাম গোপাল গরাই, ভোলানাথ মণ্ডল ও মহাদেব মণ্ডল। ধৃত তিনজনই এলাকায় তৃনমূল কর্মী হিসাবে পরিচিত। ঘটনায় রামপদ কর্মকার নামের আহত ওই কারখানা কর্তাকে গঙ্গাজলঘাটি ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে চিকিৎসা করানো হয়েছে।
চৌশাল এলাকার বেসরকারি কারখানা কর্তৃপক্ষের অভিযোগ, তৃণমূলের বেশ কয়েকজন মিলে বেশ কিছুদিন ধরেই কারখানা থেকে তোলা দাবি করে আসছিল। তোলা না দেওয়ায় দেখে নেওয়ার হুমকিও দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। বুধবার দুপুরে সহকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে একটি গাড়িতে কারখানায় কাজে আসছিলেন আধিকারিক রামপদ কর্মকার।
অভিযোগ, কারখানায় ঢোকার কিছুটা আগে জনা দশেক বাইক আরোহী তাঁদের গাড়ি আটকে রাখে। রামপদ কর্মকারকে গাড়ি থেকে নামিয়ে রাস্তায় ফেলে মারধর করে বলে অভিযোগ। হামলাকারীদের চিনতে পারেননি ওই আধিকারিক। তাদের নামে গঙ্গাজলঘাটি থানায় অভিযোগ দায়ের করে কারখানা কর্তৃপক্ষ। পুলিশ তিন জনকে গ্রেফতার করে।
ধৃতেরা স্থানীয় ভাবে তৃণমূল কর্মী হিসাবে পরিচিত হওয়ায় স্বাভাবিক ভাবেই অস্বস্তিতে ঘাসফুল শিবির। অভিযুক্তদের বক্তব্য, তাঁরা কাজ চাইতে গিয়েছিলেন। সেই সময় কারখানার ম্যানেজার রামপদ কর্মকার নাটক করে আহত হওয়ার ভান করেছেন। কোনও মারধরের ঘটনা ঘটেনি বলে দাবি অভিযুক্তদের।
প্রসঙ্গত, তৃণমূলের সেকেন্ড ইন কম্যান্ড অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বারবার সভায় সুর চড়িয়েছেন, যদি সিন্ডিকেট করতে হয়, তোলাবাজি করতে হয়, তাহলে তৃণমূল দলটা করা যাবে না। এমনকি একুশের মঞ্চ থেকেও দলীয় কর্মীদের উদ্দেশে এ বার্তা দেন তিনি। তারপরও এই ধরনের অভিযোগ ওঠায় স্বাভাবিকভাবেই অস্বস্তিতে দল। যদিও তৃণমূল নেতৃত্বের বক্তব্য, অন্যায় করলে তার বিচার হবে। তবে আগে পুলিশকে খতিয়ে দেখতে হবে ঠিক কী ঘটেছিল।