বাঁকুড়া: অবৈধ পোস্ত চাষের বিরুদ্ধে এবার আরও কঠোর ব্যবস্থা নিতে চলেছে বাঁকুড়া জেলা আবগারি দফতর। পোস্ত চাষের এলাকা ও জমি চিহ্নিতকরণের কাজ ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে। ড্রোন উড়িয়ে এবার এরিয়াল সমীক্ষার মাধ্যমে সেই পোস্ত চাষের জমি চিহ্নিতকরণের কাজ শুরু করেছে আবগারি দফতর । বাঁকুড়া ও পশ্চিম বর্ধমান জেলার সীমানাবর্তী দামোদর নদের চরে ফি বছরই এক শ্রেনির অসাধু কৃষক পোস্তর চাষ করেন। এই পোস্তর চাষ এদেশে বে আইনি। সব জেনেও মোটা টাকা মুনাফার লোভে এই চাষ করেন ওই কৃষকরা। এই পোস্ত চাষে প্রত্যক্ষ মদত থাকে এক শ্রেনির চোরাই মাদক কারবারির।
পোস্তর খোলা ও পোস্ত ফলের থেকে সংগৃহীত উপক্ষার দিয়ে তাঁরা ব্রাউন সুগার জাতীয় মাদকও তৈরি করেন। মাদক কারবারি ও অসাধু কৃষকদের সেই রমরমা রুখতে এবার আগেভাগেই মাঠে নেমেছে বাঁকুড়া জেলার আবগারি দফতর।
ড্রোন উড়িয়ে এরিয়াল সমীক্ষা করে নদীর চরে পোস্ত চাষের জমি চিহ্নিতকরণের কাজ শুরু হয়েছে। আবগারি দফতরের দাবি, দামোদর নদের চরে প্রায় চারশো বিঘা জমিতে পোস্তর চাষ হয়েছে। জমি চিহ্নিতকরণের পর রোটার চালিয়ে ওই জমিগুলির পোস্ত গাছ নষ্ট করে দেওয়া হবে।
উল্লেখ্য, এর আগে মালদার এভাবে ড্রোন উড়িয়ে সমীক্ষা চালিয়েছিল আবগারি দফতর। কালিয়াচকের তিনটি ব্লকের বিস্তীর্ণ অংশ সহ মালদহ জেলার বিরাট এলাকায় শীতের গোড়াতেই পোস্ত চাষ শুরু হয়। মূলত ভুট্টার ক্ষেতের আড়ালে এমনভাবে পোস্ত চাষ হয়, যে কোনওভাবে পুলিশ সেখানে পৌঁছতেই পারে না। কালিয়াচক-৩ ব্লকেই পোস্ত চাষের পরিমাণ সবচেয়ে বেশি। এ ছাড়াও কালিয়াচক-২, কালিয়াচক-১, ইংরেজবাজার ব্লকের গ্রামাঞ্চল, চাঁচল-১, চাঁচল-২, গাজল, বামনগোলা এবং হবিবপুর ব্লকের বিভিন্ন এলাকায় পোস্ত চাষ। যে জায়গায় পুলিশ পৌঁছতে পারে না, সেই কাজটাই সহজ করবে ড্রোন।