বাঁকুড়া: জেলা শাসকের ফেসবুক পেজ থেকে জেলার পুজোর কার্নিভালের ভিডিয়ো শেয়ার হয়েছিল। কিন্তু তাতেই দেখা গিয়েছে তৃণমূলের পতাকা। আর তা নিয়েই তুঙ্গে রাজনৈতিক তরজা। পুজোর কার্নিভালের ভিডিয়োতে কেন তৃনমূলের পতাকার ছবি দেখা যাবে? সেটাকেই হাতিয়ার করে বিজেপি। ভুল হয়ে থাকতে পারে, পাল্টা দাবি তৃণমূলের। তৃণমূলের দাবি, ভুল হয়ে থাকতেই পারে, তবে কার্নিভাল ছিল দলমত নির্বিশেষে মানুষের উৎসব। তাই এই নিয়ে রাজনীতি করা বন্ধ হওয়া উচিত।
বাংলার দুর্গাপুজাকে হেরিটেজ স্বীকৃতি দিয়েছে ইউনেসকো। সেই স্বীকৃতিকে স্মরণীয় করে রাখতে চলতি বছর রাজ্য সরকারের উদ্যোগে জেলায় জেলায় পুজা কার্নিভাল অনুষ্ঠিত হয়। শুক্রবার সন্ধ্যায় বাঁকুড়ার সতীঘাট এলাকায় এই কার্নিভালের আয়োজন করে জেলা প্রশাসন।
মূল মঞ্চ তৈরি করা হয় তৃণমূলের বাঁকুড়া জেলা কার্যালয়ের উলটো দিকের মাঠে। কার্নিভালের লাইভ সম্প্রচার করা হয় বাঁকুড়ার জেলা শাসকের নিজস্ব ফেসবুক পেজে। ওই লাইভ সম্প্রচারের একাংশে প্রায় কুড়ি সেকেন্ড ধরে তৃণমূলের দলীয় কার্যালয়ের ওপরে উড়তে থাকা দলের পতাকার ছবি দেখা যায়। যাকে ঘিরে শুরু হয় রাজনৈতিক তরজা।
বিরোধী বিজেপি শিবির এটাকে নিয়ে রাজনৈতিক হাতিয়ার করেছে। বিজেপির দাবি, জেলা শাসক প্রশাসনিক প্রধান। কার্নিভালও সরকারি অনুষ্ঠান। জেলা শাসকের ফেসবুক পেজে শাসক দলের পতাকার ভিডিয়ো দেখানো হয়েছে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যেই। তৃণমূল তা মানতে নারাজ। বিষয়টিকে ত্রুটি বলে পরোক্ষে স্বীকার করে নিয়েছে তৃণমূল। জেলা প্রশাসন বিষয়টি নিয়ে মুখে কুলুপ এঁটেছেন।
কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সুভাষ সরকার বলেন, “কার্নিভালকে কেন্দ্র করে তৃণমূলের প্রচার করতে হবে, এটা নির্দেশ রয়েছে। তাই জেলাশাসক নিজের পেজ থেকে এমন ভিডিয়ো দিয়েছেন, যেখানে তৃণমূলের পতাকা দেখা যাচ্ছে। তাই এতে মুখ্য়মন্ত্রীর হস্তক্ষেপ চাইছে, যাতে এই ভিডিয়ো সরিয়ে ফেলা হয়।”
বাঁকুড়া জেলা পরিষদের সভাধিপতি তথা তৃনমূল বিধায়ক মৃত্যুঞ্জয় মুর্মু বলেন, “বাঁকুড়ায় ২০টি দুর্গাপুজো কমিটি কার্নিভালে অংশ নেয়। বিরোধীরা কী বলছেন, সেটা ব্যাপার নয়। কোনও কাজ করতে গেলে ভুল হয়ে থাকতেই পারে, সেটা নিয়ে জলঘোলা হচ্ছে।”