Bankura: আরজি কর কাণ্ডে প্রতিবাদে সামিল হন, দুই ছাত্রীকে ক্লাস থেকে বার করে দেওয়ার অভিযোগ অধ্যাপকের বিরুদ্ধে

Hirak Mukherjee | Edited By: শর্মিষ্ঠা চক্রবর্তী

Sep 23, 2024 | 12:33 PM

Bankura: আরজি কাণ্ডে প্রতিবাদে সামিল হয়েছে গোটা দেশ। প্রতিবাদের ঢেউ পৌঁছেছে বিদেশেও। নিজেদের কলেজে আর জি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে কর্মসূচি করতে চেয়েছিলেন বাঁকুড়া জেলা সারদামনি মহিলা কলেজের পঞ্চম সেমিস্টারের দুই ছাত্রী।

Bankura: আরজি কর কাণ্ডে প্রতিবাদে সামিল হন, দুই ছাত্রীকে ক্লাস থেকে বার করে দেওয়ার অভিযোগ অধ্যাপকের বিরুদ্ধে
প্রতিবাদী দুই ছাত্রী
Image Credit source: TV9 Bangla

Follow Us

বাঁকুড়া:  আরজি কর এর ঘটনার প্রতিবাদে কলেজের গেটের বাইরে রাস্তায় ছবি এঁকেছিলেন। প্রতিবাদী মিছিলে অংশ  নিয়েছিলেন। সে কারণে দুই ছাত্রীকে ক্লাস থেকে বের করে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে বাঁকুড়া জেলা সারদামনি মহিলা কলেজের ভূগোল বিভাগের বিভাগীয় প্রধান তথা রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী শ্যামল সাঁতরার বিরুদ্ধে। ক্লাস থেকে বের করে দেওয়া ওই দুই ছাত্রীকে অবিলম্বে ক্লাসে ফেরানো এবং অভিযুক্ত অধ্যাপকের শাস্তির দাবি তুলে এবার বাঁকুড়ায় পথে নামল নাগরিক সমাজ। রবিবার সন্ধ্যায় ওই দুই দাবির সমর্থনে বাঁকুড়ার প্রাণকেন্দ্র মাচানতলায় বিক্ষোভ দেখান সমাজের বিভিন্ন স্তরের মানুষ। যে বিক্ষোভে যোগ দেন চিকিৎসক মহলের একাংশও।

আরজি কাণ্ডে প্রতিবাদে সামিল হয়েছে গোটা দেশ। প্রতিবাদের ঢেউ পৌঁছেছে বিদেশেও। নিজেদের কলেজে আর জি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে কর্মসূচি করতে চেয়েছিলেন বাঁকুড়া জেলা সারদামনি মহিলা কলেজের পঞ্চম সেমিস্টারের দুই ছাত্রী। কলেজ কর্তৃপক্ষ অনুমতি না দেওয়ায় কলেজ গেটের বাইরে আরজি করের বিচার চেয়ে স্ট্রিট পেয়ন্টিং করেছিলেন ওই দুই পড়ুয়া-সহ অন্যান্যরা। আর সেই অপরাধেই ওই দুই ছাত্রীর ওপর নেমে আসে কোপ।

অভিযোগ শুক্রবার ওই দুই ছাত্রী কলেজে ভূগোলের ক্লাস করতে গেলে বিভাগীয় প্রধান তথা রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী শ্যামল সাঁতরা তাঁদের ক্লাস করতে বাধা দেন। যদিও সেই অভিযোগ না মেনে পরে শ্যামল সাঁতরা দাবি করেন, ওই দুই ছাত্রী ক্লাসরুমে রাজনৈতিক দলের নামে চাঁদা তুলে অন্যান্য পড়ুয়াদের প্রভাবিত করার চেষ্টা করছিলেন। তাই তাঁদের ক্লাস করতে নিষেধ করা হয়েছিল। এদিকে নিজেদের উপর এই অন্যায়ের বিচার চেয়ে শনিবার কলেজের গেটে বিক্ষোভে সামিল হন ওই দুই ছাত্রী সহ সারদামনি মহিলা কলেজের পড়ুয়াদের একাংশ। এবার ওই দুই ছাত্রীকে অবিলম্বে ক্লাসে ফেরানো এবং অভিযুক্ত অধ্যাপকের শাস্তির দাবি তুলে রাস্তায় নামলেন অনেকেই। প্রতিবাদী ছাত্রীর বক্তব্য, “আমরা স্যরকে শুধু জিজ্ঞাসা করেছিলাম, আরজি করের ঘটনা ন্যায় না অন্যায়?অন্যায়ের প্রতিবাদ তো করতেই হবে। স্যর কোনও কথাই শোনেননি। আমাদের বলেন, ক্লাস থেকে বেরিয়ে যেতে। পরপর রোজই ক্লাস থেকে বার করে দেওয়া হতে থাকে।”

Next Article