বাঁকুড়া: “মার খেয়ে কাঁদতে কাঁদতে আমার কাছে আসবেন না। পাল্টা মার দিয়ে আসুন। বাকিটা সুকান্ত মজুমদার বুঝে নেবে”। বাঁকুড়ায় নারী সুরক্ষা মহামিছিল শেষে প্রতিবাদ সভাতে এই ভাষাতেই দলীয় কর্মীদের নিদান দিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার। একইসঙ্গে তাঁর হুঁশিয়ারি, “বিজেপিকে ফোঁস করতে এলে বিজেপিও ডান্ডা ব্যবহার করবে।” তবে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি ঘাসফুল শিবিরও। তৃণমূল নেতারা বলছেন, “বাঁকুড়া লোকসভা আসন হাতছাড়া হওয়াতেই এই ধরনের আবোল-তাবোল কথা বলছেন সুকান্ত।”
নারী সুরক্ষার দাবিতে শনিবার সন্ধ্যায় বাঁকুড়ার হিন্দু হাইস্কুল থেকে বাঁকুড়ার মাচানতলা পর্যন্ত বিজেপির মহামিছিলে অংশ নেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা কেন্দ্রের শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার। মিছিল শেষে বাঁকুড়ার আকাশ মুক্ত মঞ্চে সভা করে তৃণমূলকে একহাত নেন সুকান্ত। রাজ্যজুড়ে শাসকদলের সন্ত্রাসের প্রসঙ্গ টেনে পাল্টা দাওয়াই দেওয়ার নিদানও দেন। বলেন, “মার খেয়ে কাঁপতে কাঁপতে আমার কাছে আসবেন না। পাল্টা মার দিয়ে আসুন। বাকিটা সুকান্ত মজুমদার বুঝে নেবে।” এরপরই সুকান্ত মজুমদার মুখ্যমন্ত্রীর বলা ফোঁস দাওয়াই এর প্রসঙ্গ টেনে সতর্ক করে বলেন, ” বিজেপিকে ফোঁস করতে এলে বিজেপিও ডান্ডা ব্যবহার করবে”।
অন্যদিকে ছাব্বিশের প্রস্তুতি যে এখন থেকেই পদ্ম শিবির শুরু করে দিয়েছে তাও স্পষ্ট সুকান্তর কথাতেই। জয়ের ব্যাপারীও আত্মবিশ্বাসী রাজ্য বিজেপির সভাপতি। স্পষ্ট বলেন, “২০২৬ সালে এই রাজ্যেও বুলডোজার সরকার প্রতিষ্ঠা হবে।” সুকান্ত মজুমদারের এই মন্তব্যের প্রেক্ষিতে পাল্টা তাঁকে কটাক্ষ করেছেন বাঁকুড়ার তৃনমূল সাংসদ অরুপ চক্রবর্তী। তাঁর দাবি, বাঁকুড়া লোকসভা কেন্দ্রে বিজেপি হেরে যাওয়াতেই এখন বাঁকুড়ায় এসে এইসব ভুলভাল কথা বলছেন পদ্ম নেতা।