বাঁকুড়া : ঘূর্ণিঝড়ের পূর্বাভাস ছিল। তার জেরে মুকুটমণিপুর জলাধার থেকে জল ছাড়া হয়েছিল। বিয়েবাড়ি উপলক্ষে ঘুরতে আসা তিন যুবক সেসময় স্নান করতে নেমেছিলেন। পরিণতি মর্মান্তিক। তিন জনই তলিয়ে যান। পরে দু’জনকে উদ্ধার করা গেলেও একজনের এখনও খোঁজ মেলেনি। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ঘটনাটি ঘটেছে মুকুটমণিপুর জলাধার সংলগ্ন বাঘজোড়া গ্রামের কাছে। তিন জনের তলিয়ে যাওয়ার খবর মিলতেই তড়িঘড়ি জল ছাড়া বন্ধ করে মুকুটমণিপুর জলাধার কর্তৃপক্ষ।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সম্প্রতি বিয়ে বাড়ি উপলক্ষে বর্ধমান থেকে মুকুটমণিপুর লাগোয়া বাঘজোড়া গ্রামে এসেছিলেন তিন যুবক। দুপুরে তিনজনে স্থানীয় কংসাবতী নদীতে স্নান করতে যান। স্নান করার সময় আচমকাই মুকুটমণিপুর জলাধার থেকে জল ছাড়া হয়। সাঁতরে কোনওক্রমে পাড়ে আসার চেষ্টা করেছিলেন তিন জন। কিন্তু পারেননি।
দীর্ঘক্ষণ বাড়ি না ফেরার পরিবারের সদস্যরাই খোঁজ শুরু করেন। তারপর খোঁজ করতে গিয়ে নদীর ধারে চটি ও জামা দেখতে পেয়েছিলেন পরিবারের সদস্যরা। তখনই বিষয়টা আঁচ করতে পারেন। জলাধার কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে তল্লাশি শুরু হয়।
নিয়ম অনুযায়ী একাধিকবার সাইরেন বাজিয়ে নদী তীরবর্তী এলাকার মানুষকে সতর্ক করে নদীতে পাঁচা হাজার কিউসেক জল ছাড়া শুরু করে জলাধার কর্তৃপক্ষ। মনে করা হচ্ছে. তিন যুবক সাইরেন শুনতে পেলেও তাঁর আক্ষরিক অর্থ বুঝতে পারেননি। বিপদ আঁচ করতে না পেরেই জলে নেমে পড়েছিলেন তাঁরা। আচমকা নদীতে আসা জলের তোড়ে তলিয়ে যান তিন যুবক। দুজনকে তড়িঘড়ি উদ্ধার করেন স্থানীয়রা। অপরজনের এখনও খোঁজ মেলেনি।
পুলিশ সূত্রে খবর, জল ছাড়ার দেড় ঘণ্টার মাথায় ফের তা বন্ধ করতে বাধ্য হয় জলাধার কর্তৃপক্ষ। শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, ওই যুবকের খোঁজ মেলেনি। পুলিশ ও বিপর্যয় মোকাবিলা দফতর যৌথ ভাবে কংসাবতী নদীতে খোঁজ চালাচ্ছে।