বাঁকুড়া: আবাস প্রকল্পের বাড়ি তৈরি ঘিরে গন্ডগোল। সেই নিয়ে মামলা গড়িয়েছিল আদালতে। হাইকোর্ট পর্যন্ত গড়ায় সেই মামলা। মামলার রায় আবাসের উপভোক্তার পক্ষে যায়নি। আদালত নির্দেশ দিয়েছিল, ওই বাড়ির অবৈধ অংশ ভেঙে ফেলার জন্য। তার জেরে তেলেবেগুনে জ্বলে উঠেছিল ওই উপভোক্তা। রাগের বশে প্রতিবেশী অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক ও তাঁর ছেলের উপর প্রাণঘাতী হামলা চালায়। জোড়া খুনের অভিযোগে আপাতত ওই উপভোক্তা সপরিবারের জেলবন্দি। এসবের মধ্যেই শনিবার আবাস প্রকল্পের আওতায় তৈরি ওই বাড়ির বিতর্কিত অংশ ভাঙাল কাজ শুরু করল বাঁকুড়া পুরসভা।
ঘটনাটি বাঁকুড়া শহরের ১১ নম্বর ওয়ার্ডের নতুনচটি এলাকার। সেখানে আবাস প্রকল্পের উপভোক্তার তালিকায় নাম রয়েছে পিন্টু রুইদাসের। আবাসের বাড়ি তৈরির কাজও অনেকটা এগিয়ে গিয়েছিল। এরই মধ্যে প্রতিবেশী অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক মথুরামোহন দত্তর সঙ্গে গন্ডগোল শুর হয় পিন্টুর। অভিযোগ, প্রতিবেশীর জমির একাংশ দখল করে আবাসের বাড়ি বানাচ্ছিল পিন্টু রুইদাস। সেই নিয়েই বচসা এবং পরে তা আদালত পর্যন্ত গড়ায়। গত ১৬ অক্টোবর হাইকোর্টের থেকে নির্দেশ দেওয়া হয়, আবাস প্রকল্পের আওতায় নির্মাণের অবৈধ অংশটুকু ভেঙে ফেলতে হবে। এই মর্মে বাঁকুড়া পুরসভাকে প্রয়োজনীয় নির্দেশ দেয় আদালত।
আদালতের নির্দেশ আসার পরই প্রতিবেশীর উপর যাবতীয় রাগ গিয়ে পড়ে পিন্টু রুইদাসের। গত ৩ ডিসেম্বর প্রতিবেশী অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক ও তাঁর ছেলের উপর হামলা চালায় পিন্টু। অভিযোগ, ধারাল অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে খুন করা হয় তাঁদের। জোড়া খুনের অভিযোগে ইতিমধ্যেই স্ত্রী ও দুই ছেলে-সহ পিন্টুকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এসবের মধ্যেই শনিবার ওই বাড়ির অবৈধ অংশ ভাঙার কাজ শুরু করল বাঁকুড়া পুরসভা।