বাঁকুড়া: গন্ধেশ্বরী নদী গর্ভে নদীর গতিপথ রুদ্ধ করে চলছিল বিশাল নির্মাণের প্রস্তুতি। নদী গর্ভে খোঁড়া হয়েছিল ভিত। নামানো হয়েছিল ইঁট-বালি সহ বিভিন্ন নির্মাণ সামগ্রী। বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় কাউন্সিলর হইচই করতেই চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ল গোটা এলাকায়। তড়িঘড়ি ঘটনাস্থলে এসে নির্মাণ বন্ধ করল পুলিশ।
বাঁকুড়া শহরের দুপাশ দিয়ে বয়ে গিয়েছে গন্ধেশ্বরী ও দ্বারকেশ্বর নদী। এই দুই নদীই শহরের মানুষের প্রাণ। কিন্তু গত কয়েকবছর ধরে সেই গন্ধেশ্বরী নদীর গর্ভেই গড়ে উঠছে একের পর এক বেআইনি নির্মাণ। কার্যত প্রশাসনের নাকের ডগায় একের পর এক নির্মাণ গড়ে উঠলেও অধিকাংশ ক্ষেত্রেই প্রশাসনকে দেখা যায় নির্বাক দর্শকের ভূমিকায়। অভিযোগ, এই সুযোগকেই কাজে লাগায় সমীর ঘোষাল নামের স্থানীয় এক ব্যবসায়ী। বাঁকুড়ার সতীঘাট সংলগ্ন এলাকায় এবার নদীগর্ভে বিশাল নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছিলেন। নির্মাণের জন্য নামানো হয়েছিল ইঁট, বালি, সিমেন্ট সহ অন্যান্য সামগ্রী।
নির্মাণের যাবতীয় প্রস্তুতি শেষ হতেই বিষয়টি নজরে আসে স্থানীয় বাসিন্দাদের। তাঁরাই খবর দেন বাঁকুড়া পুরসভার স্থানীয় ৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর দিলীপ আগরওয়ালকে। ঘটনাস্থলে পৌঁছে বিষয়টি দেখেই খবর দেন পুলিশ ও প্রশাসনকে। এরপরই পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে নির্মাণ বন্ধ করার নির্দেশ দেয়। নির্মাণের কাজে যুক্ত অভিযুক্ত ব্যবসায়ী অবশ্য এর পিছনে অবশ্য ‘হাস্যকর’ যুক্তি দেখিয়েছেন। তিনি বলেন, “অনেকেই নদীর জায়গা দখল করে নির্মাণ করেছেন। সেই কারণে আমিও একই পথে হেঁটেছি।”