Tiger Panic: সামনে যা পাচ্ছে, সব সাবাড় করছে ‘ও’, না খেয়ে দিনের পর দিন বসে গ্রামবাসী
Tiger: রহমদা শবর পাড়ায় সব মিলিয়ে বাস গোটা পাঁচেক শবর পরিবারের। ভাঁড়ারি পাহাড়ের ঢালেই অবস্থান এই গ্রামের। পাহাড়ের ঢালে জঙ্গলের ভিতরেই ছড়িয়ে ছিটিয়ে ভাঙাচোরা বাড়ি। সেই পাহাড়েই ঘুরে বেড়াচ্ছে বাঘিনি জিনাত। গ্রামের অদূরেই থাকা নাপিত পুকুরের কাছে আজ সকালে স্থানীয়রা বাঘের পায়ের ছাপ দেখেছেন।
বাঁকুড়া: গ্রামের গায়েই উঠে গেছে ভাঁড়ারি পাহাড়। অনুমান করা হচ্ছে সেই পাহাড়েই লুকিয়ে রয়েছে বাঘিনি জিনাত। হামলা ঠেকাতে গ্রামের পাহাড়ের দিক ঘিরে ফেলা হয়েছে নাইলনের জাল দিয়ে। কিন্তু এখনো অরক্ষিত গ্রামের অপর পাশ। সেই অরক্ষিত দিকেই ভোর বেলায় দেখা মিলেছে বাঘিনির পায়ের ছাপ। আতঙ্কে কাঁটা গোটা রহমদা শবর পাড়া। এ দিকে, বাঘিনি নিজে একের পর এক গরু-ছাগল সাব
রহমদা শবর পাড়ায় সব মিলিয়ে বাস গোটা পাঁচেক শবর পরিবারের। ভাঁড়ারি পাহাড়ের ঢালেই অবস্থান এই গ্রামের। পাহাড়ের ঢালে জঙ্গলের ভিতরেই ছড়িয়ে ছিটিয়ে ভাঙাচোরা বাড়ি। সেই পাহাড়েই ঘুরে বেড়াচ্ছে বাঘিনি জিনাত। গ্রামের অদূরেই থাকা নাপিত পুকুরের কাছে আজ সকালে স্থানীয়রা বাঘের পায়ের ছাপ দেখেছেন। তাতে আতঙ্ক আরও বৃদ্ধি পেয়েছে। গ্রামে জিনাতের হানা ঠেকাতে গ্রামের একটি দিক নাইলনের জাল দিয়ে ঘিরেছে বন দফতর। কিন্তু অরক্ষিত অপরদিকেই বাঘিনির পায়ের ছাপ নতুন করে আতঙ্ক তৈরি করেছে গ্রামবাসীদের।
মালতী সব্বর নামে এক বাসিন্দা বলেন, “আজ কাজেও যেতে পারিনি বাঘের ভয়ে। বাঘ ঘুরছে। চাল নেই বাড়িতে। এদিকে বাঘের ভয়ে যেতে পারছি না। জঙ্গলে গেলে তবেই তো খাবার জোটে।” অপরদিকে, আরও এক স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, “জঙ্গলে যাই। তারপর সেখানে কাঠ কাটি। সেই কাঠ বিক্রি করে তবেই তো পয়সা রোজগার হয়। কিন্তু বাঘের ভয়ে বেরতেই পারছি না। খাবার জুটছে না।”