বাঁকুড়া: কুকুরে সদ্যোজাতকে তুলে নিয়ে যাওয়ার ছবি ‘ফেক’ বলে দাবি করল স্বাস্থ্য দফতর। মঙ্গলবার সোনামুখী গ্রামীণ হাসপাতালের ঘটনা সামনে আসার পরই নড়েচড়ে বসে স্বাস্থ্য দফতর। বিষ্ণুপুর স্বাস্থ্য জেলার উচ্চ পদস্থ একাধিক স্বাস্থ্য আধিকারিক সোনামুখী গ্রামীণ হাসপাতালে যান। হাসপাতালের অবস্থা খতিয়ে দেখেন তাঁরা। কথা বলেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গেও। পরে তাঁরা জানান, সোনামুখী হাসপাতালের যে ছবি বলে চালানো হচ্ছে, তা আসলে ‘ভুয়ো’। ওই মহিলা এক মাসের গর্ভবতী ছিলেন। মাত্র এক মাসের গর্ভাবস্থায় শিশু ভ্রূণের আকার অত বড় হওয়া সম্ভব নয় বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য় দফতর।
প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার একটি মর্মান্তিক ছবি প্রকাশ্যে আসে। তাতে দেখা যায়, একটি কুকুর মুখে করে অপরিণত শিশু নিয়ে যাচ্ছে। তাতে শোরগোল পড়ে যায়। প্রিয়া রায় নামে এক মহিলার পরিবার দাবি করেন, এই অপরিণত শিশু তাঁদেরই। জানা যায়, প্রিয়া রায় নামের ওই প্রসূতি সোমবার রাতে পেটের যন্ত্রণা নিয়ে ভর্তি হন সোনামুখী গ্রামীণ হাসপাতালে।
পরিবারের দাবি, কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁর ইউরিন টেস্টের কথা বলে। স্বাভাবিকভাবেই ওই প্রসূতি মা ইউরিন সংগ্রহের জন্য বাথরুমে যান । সেখানেই প্রিয়া একটি অপরিণত শিশুর জন্ম দেন বলে দাবি পরিবারের। তড়িঘড়ি পরিবারের লোকজন কর্তব্যরত নার্সদের ডাকেন। অভিযোগ, ঘটনার গুরুত্ব বোঝার পরও নার্সরা আসতে অনেক দেরি করেন। পরিবার দাবি করেছিল, পরে ওই মাকে প্রসূতি বিভাগে নিয়ে গেলেও সদ্যোজাত সেখানেই পড়ে থাকে। কিছুক্ষণ পরে পরিবারের লোকজন ওই অপরিণত শিশুকে দেখতে এলে দেখা যায় সেখানে আর নেই। আর তারপরই এই ছবি প্রকাশ্যে আসে, তাতে শোরগোল পড়ে যায়।