Bankura School: মাধ্যমিক পরীক্ষার দিনগুলোতে শিক্ষকরা ক্লাসে জল দেবেন না গার্ড? গ্রুপ ডি কর্মীদের চাকরি যাওয়ায় দিশেহারা বাঁকুড়ার স্কুলগুলি

Hirak Mukherjee | Edited By: শর্মিষ্ঠা চক্রবর্তী

Feb 16, 2023 | 11:29 AM

Bankura School: প্রায় ১৫০০ জন পড়ুয়ার ওই স্কুলের পঠন পাঠন বাদ দিয়ে অন্যান্য কাজ একা কীভাবে সামাল দেবেন ওই মহিলা তা ভেবে কূল কিনারা পাচ্ছেন না স্কুলের প্রধান শিক্ষক।

Bankura School:  মাধ্যমিক পরীক্ষার দিনগুলোতে শিক্ষকরা ক্লাসে জল দেবেন না গার্ড? গ্রুপ ডি কর্মীদের চাকরি যাওয়ায় দিশেহারা বাঁকুড়ার স্কুলগুলি
শিক্ষকরাই জল ভরছেন, ঘণ্টা বাজাচ্ছেন

Follow Us

বাঁকুড়া: আদালতের নির্দেশে OMR Sheet এ গরমিল করা ‘গ্রুপ ডি’ কর্মীদের চাকরি যেতেই সমস্যায় স্কুলগুলি। মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা হবে কীভাবে, চিন্তায় ঘুম উড়েছে স্কুল কর্তৃপক্ষের। স্কুল কর্তৃপক্ষের দাবি, এমনিতেই স্কুলগুলিতে পর্যাপ্ত সংখ্যক গ্রুপ ডি কর্মী ছিলেন না। তা দিয়েই কোনওমতে পরিস্থিতি সামাল দিচ্ছিলেন স্কুল গুলি। কিন্তু সম্প্রতি আদালতের নির্দেশে বহু স্কুলের গ্রুপ ডি কর্মীর চাকরি যেতেই বেকায়দায় পড়েছে স্কুলগুলি।

এরকমই একটি স্কুল হল বাঁকুড়ার পাত্রসায়ের ব্লকের বেলুট হাইস্কুল। সবমিলিয়ে স্কুলে পড়ুয়ার সংখ্যা ১১০০ জন। পঞ্চম থেকে দ্বাদশ পর্যন্ত ক্লাসের পঠন পাঠন বাদ দিলে বাকি স্কুলের অন্যান্য কাজ স্বাভাবিক রাখার ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা ছিল স্কুলের দুই গ্রুপ ডি কর্মী দেবব্রত লোহার ও প্রতিক দে’র। সম্প্রতি আদালতের নির্দেশে দু’জনেরই চাকরি গিয়েছে। এই অবস্থায় স্কুলের দরজায় তালা খোলা, ছুটির সময় সমস্ত ক্লাসরুমে তালা দেওয়া, ঘণ্টা বাজানো থেকে পানীয় জল সরবরাহের দেখাশোনা সবটাই করতে হচ্ছে প্রধান শিক্ষক ও অন্যান্য-সহ শিক্ষকদের।

আরেকটা দৃশ্য বাঁকুড়া এক নম্বর ব্লকের বিকনা ক্ষিরোদ প্রসাদ স্মৃতি বিদ্যাপীঠ। এই স্কুলে এতদিন নিযুক্ত ছিলেন চার জন গ্রুপ ডি কর্মী। এর মধ্যে দুজন ল্যাব আটেনডেন্ট। বাকি দুজন পিওন। পিওনরাই পানীয় জল সরবরাহ থেকে ফাইল এই টেবিল থেকে সেই টেবিল ও চিঠিপত্র লেনদেন, স্কুল পরিচ্ছন্ন রাখার কাজ করতেন। সম্প্রতি আদালতের নির্দেশে পিওন একজনের চাকরি যায়। অপর পিওন পদে রয়েছেন একজন মহিলা।

প্রায় ১৫০০ জন পড়ুয়ার ওই স্কুলের পঠন পাঠন বাদ দিয়ে অন্যান্য কাজ একা কীভাবে সামাল দেবেন ওই মহিলা তা ভেবে কূল কিনারা পাচ্ছেন না স্কুলের প্রধান শিক্ষক।

বিকনা ক্ষিরোদ প্রসাদ স্মৃতি বিদ্যাপীঠের প্রধান শিক্ষক আশিস মুখোপাধ্যায় বলছেন, “আদালতের নির্দেশে স্কুলের অশিক্ষক কর্মীদের চাকরি গিয়েছে। এখন স্কুলে খুবই সমস্যা হচ্ছে। ফলে ঘণ্টা বাজানো থেকে শুরু করে জল দেওয়া, সবই আমাদের করতে হচ্ছে। ২৩ ফেব্রুয়ারি থেকে মাধ্যমিক। ওঁদেরকে বাদ দিয়ে কীভাবে সুষ্ঠুভাবে পরীক্ষা চালানো যাবে, সেটাই চিন্তার।”

শিয়রে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা। বেলুট হাইস্কুল ও বিকনা ক্ষিরোদ প্রসাদ স্মৃতি বিদ্যাপীঠ দুটি স্কুলেই মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার কেন্দ্র। স্কুল দুটিতে গ্রুপ ডি কর্মীর যেখানে এমন হাল সেখানে কীভাবে হবে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা জানেন না ওই দুই স্কুলের প্রধান শিক্ষক। তাঁদের দাবি, অবিলম্বে স্কুলগুলিতে গ্রুপ ডির শূন্য পদে দ্রুত নিয়োগ করা হোক।

Next Article