AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Bengal BJP: আবারও বিজেপির অন্দরে ‘বিদ্রোহ’! এবার গ্রুপ ‘লেফট’ বাঁকুড়ার চার বিধায়কের

BJP: এর আগে উত্তর ২৪ পরগনার পাঁচ বিধায়ককে দলীয় হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ থেকে বেরিয়ে যেতে দেখা গিয়েছিল।

Bengal BJP: আবারও বিজেপির অন্দরে 'বিদ্রোহ'! এবার গ্রুপ 'লেফট' বাঁকুড়ার চার বিধায়কের
আক্রান্ত বিজেপি নেতা, প্রতীকী ছবি।
| Edited By: | Updated on: Dec 26, 2021 | 10:23 PM
Share

বাঁকুড়া: বঙ্গ বিজেপিতে ফের ‘লেফট’ রাজনীতি। সূত্রের খবর, অস্বস্তি বাড়িয়ে ‘বিদ্রোহী’ আরও চার বিধায়ক। একসঙ্গে হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ছেড়ে বেরিয়ে গিয়েছেন তাঁরা। চারজনই বাঁকুড়া জেলার বিধায়ক বলে সূত্রের দাবি। নতুন রাজ্য কমিটি ঘোষণার পর থেকেই এই নয়া ধারা দেখা যাচ্ছে বিজেপির অন্দরে। এর আগে উত্তর ২৪ পরগনার পাঁচ বিধায়ককে দলীয় হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ থেকে বেরিয়ে যেতে দেখা গিয়েছিল। এবার সে তালিকায় যুক্ত হল বাঁকুড়ার নাম।

তবে ঠিক কী চার বিজেপি বিধায়কের গ্রুপ ছেড়ে বেরিয়ে যাওয়া তা এখনও স্পষ্ট নয়। নতুন রাজ্য কমিটি বা নতুন জেলা সভাপতি নিয়ে একটা ক্ষোভের আঁচ ইতিমধ্যেই বিজেপির অন্দরে দেখা যাচ্ছে। সূত্রের খবর, বাঁকুড়ার সাংগঠনিক জেলা সভাপতি হিসাবে যাঁকে আনা হয়েছে, তা নিয়ে দলের অনেকেরই মত পার্থক্য রয়েছে। সেই কারণে এই হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ লেফট করে যাওয়া কি না তা এখনও স্পষ্ট নয়।

বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে, জেলার বিভিন্ন সাংগঠনিক গ্রুপ থেকে বেরিয়ে যাওয়া বিধায়কদের তালিকায় রয়েছেন বাঁকুড়ার বিজেপি বিধায়ক নীলাদ্রিশেখর দানা, ওন্দার বিজেপি বিধায়ক অমরনাথ শাখা, সোনামুখীর বিধায়ক দিবাকর ঘরামি ও ইন্দাসের বিধায়ক নির্মল ধাড়া। যদিও গ্রুপ থেকে বেরিয়ে যাওয়ার কথা অস্বীকার করেছেন বিজেপি বিধায়ক নীলাদ্রি শেখর দানা।

তবে এই ধরনের ঘটনা যে বিজেপির কাছে একটা অস্বস্তির কারণ, তেমনটাই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। বিশেষ করে সোমবার যেখানে রাজ্যে বিজেপির সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক বিএল সন্তোষ আসছেন, নতুন জেলা কমিটি ও নতুন জেলা সভাপতিদের সঙ্গে বৈঠক করার সম্ভাবনা শোনা যাচ্ছে, তারই ঠিক আগে এরকম ঘটনা যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ।

তবে জেলা বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে, নতুন সভাপতিদের নিয়ে দলের অন্দরে ক্ষোভ বাড়ছে। সূত্রের দাবি, জেলার নেতারা চাইছেন আসন্ন পুরসভা নির্বাচনে দলের শক্তি বৃদ্ধি করতে। সাংগঠনিকভাবে দলকে আরও মজবুত করতে। সে কারণে যথার্থই প্রকৃত নেতাকে চান তাঁরা।

যদিও এই ‘লেফট কালচার’কে একেবারেই আমল দিতে নারাজ দিলীপ ঘোষ। রবিবার খড়গপুরে বিজেপি সাংসদ বলেন, “গ্রুপ ছাড়াটা কোনও খবর হতে পারেনা। কত লোক প্রতিদিন কত গ্রুপে ঢুকেছে, কত গ্রুপ থেকে বেরচ্ছে।” তিনি আরও যোগ করেছেন, “পার্টির ব্যাপারে সবাই একমত হবে না। পার্টির ব্যাপারে কারও কিছু বলার থাকলে সেটা ঠিক জায়গায় বলা উচিত… পার্টির ভিতরে।”

বিজেপির নতুন রাজ্য কমিটির তালিকায় একজনও মতুয়া সম্প্রদায়ভুক্ত কেউ স্থান পাননি বলেই ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন এই বিধায়করা, অন্তত এমনটাই কানাঘুষো শোনা গিয়েছে। অথচ, বিজেপির একটি বড় অংশের ভোটপ্রাপ্তি ঘটেছে এই মতুয়া গড়েই। এরপরই শনিবার হঠাৎ শোনা যায় অশোক কীর্তনিয়া, মুকুটমণি অধিকারী, সুব্রত ঠাকুর, অসীম সরকার এবং অম্বিকা রায়, এই পাঁচ বিধায়ক দলীয় যে হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ রয়েছে তা ছেড়ে বেরিয়ে যান। এক অম্বিকা রায়ই পরে আবার ভুল স্বীকার করেন দলের কাছে। বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের কাছে গ্রুপে ফেরানোর আর্জিও জানান। এবার বাঁকুড়ার চার বিধায়ককে নিয়েও সেই একই জল্পনা।

আরও পড়ুন: Covid Update: উৎসবে বেলাগাম কলকাতা! সংক্রমণে ফের ডবল সেঞ্চুরি পার