বাঁকুড়া: দলের অঞ্চল সভাপতিদের নাম ঘোষণা হতেই বাঁকুড়া জেলায় একের পর এক ব্লকে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে চলে আসছে। দিন দুই আগেই সিমলাপালে তৃণমূলের দলীয় কার্যালয়ে চড়াও হয়ে দলীয় কার্যালয় ভাঙচুর করে তৃণমূলেরই একাংশ। এবার দলের জেলা সভাপতির বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ তুলে ক্ষোভে ফেটে পড়লেন দলেরই ইন্দপুর ব্লকের সভাপতি রেজাউল খান । এই ঘটনায় স্বাভাবিক ভাবেই অস্বস্তিতে তৃণমূল জেলা নেতৃত্ব।
দিন দুই আগেই সিমলাপাল ব্লকের সাতটি অঞ্চল সভাপতি পদে রদ বদল না করে পুরানোদেরই পুনর্বহাল করায় তৃণমূল কর্মীদের একাংশ সিমলাপালে তৃণমূলের দলীয় কার্যালয়ে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর চালায়। সেই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই এবার ইন্দপুরেও একই ঘটনা ঘটল।
তৃণমূলের ইন্দপুর ব্লক সভাপতি রেজাউল খান সহ নেতৃত্বের একাংশ চেয়েছিলেন গত গ্রাম পঞ্চায়েত, বিধানসভা ও লোকসভা নির্বাচনের ফলাফলের নিরিখে দলের একাধিক অঞ্চল সভাপতি বদল করা হোক। ব্লক সভাপতির মাধ্যমে সেই তালিকা জমাও দেওয়া হয়েছিল দলের জেলা সভাপতির কাছে।
গত ১ জানুয়ারি বাঁকুড়া তৃণমূল ভবন থেকে তৃণমূলের বাঁকুড়া সাংগঠনিক জেলার অঞ্চল সভাপতিদের নাম ঘোষণা করা হলে দেখা যায় ইন্দপুর ব্লকের সাতটি অঞ্চলের মধ্যে তৃণমূলের কোনও অঞ্চল সভাপতিকেই বদল করা হয়নি। আর এতেই ক্ষোভের পারদ চরতে শুরু করে তৃণমূলের ইন্দপুর ব্লক নেতৃত্বের একাংশের মধ্যে। তৃণমূলের ইন্দপুর ব্লক সভাপতি রেজাউল খান প্রকাশ্যেই দলের খোদ জেলা সভাপতির বিরুদ্ধে স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ তুলে সরব হন।
তাঁর দাবি, ইন্দপুর ব্লকে আগামী পঞ্চায়েত নির্বাচনে দলের ফলাফল খারাপ হলে তার দায় নিতে হবে জেলা সভাপতিকেই। তৃণমূলের বাঁকুড়া জেলা সভাপতির দাবি অঞ্চল সভাপতিদের রদবদল কারও ব্যাক্তিগত বা একক সিদ্ধান্ত নয়। দলের জেলার কোর কমিটি বসে সেই তালিকা তৈরি হয়েছে। তালিকা কারোর পছন্দ না হয়ে থাকলে দলের অন্দরেই সে ব্যাপারে আলোচনা করা যেত। বিজেপির দাবি, তৃণমূলের জেলা ও ব্লক নেতৃত্বের মধ্যে ভাগ বাটোয়ার নিয়ে গন্ডগোলের জেরেই এই ধরনের ঘটনা ঘটছে।