বাঁকুড়া: জয়ী নির্দল প্রার্থীকে দলে যোগদান করিয়ে ত্রিশঙ্কু থাকা গ্রাম পঞ্চায়েত দখল করল তৃণমূল। ঘটনাটি ঘটেছে বাঁকুড়ার ছাতনা ব্লকের জিড়রা গ্রাম পঞ্চায়েতে। সদ্য শেষ হওয়া গ্রাম পঞ্চায়েত নির্বাচনে বাঁকুড়া জেলার ১৯০ টি গ্রাম পঞ্চায়েতের মধ্যে ১৮ টি গ্রাম পঞ্চায়েত ত্রিশঙ্কু অবস্থায় ছিল। এরমধ্যে অন্যতম ছাতনা ব্লকের জিড়রা গ্রাম পঞ্চায়েত। ১৫ টি আসনের এই গ্রাম পঞ্চায়েতে তৃণমূল পায় ৭ টি, বিজেপি ৬ টি আসন। নির্দল ও কংগ্রেস ১ টি করে আসনে জয়লাভ করে । ওই গ্রাম পঞ্চায়েতে কোনও দলই একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পাওয়ায় পঞ্চায়েতটি ত্রিশঙ্কু হয়ে পড়ে। গতকাল ওই গ্রাম পঞ্চায়েতের ২৫ নম্বর আসনে জয়ী নির্দল প্রার্থী ভূদেব মণ্ডল তৃণমূলে যোগ দিলে পঞ্চায়েতটি তৃণমূলের দখলে যায়। বুধবার বাঁকুড়ার তৃণমূল ভবনে নির্দল পঞ্চায়েত সদস্য ভূদেব মণ্ডলের হাতে তৃণমূলের পতাকা তুলে দেন তৃণমূলের বাঁকুড়া সাংগঠনিক জেলা সভাপতি দিব্যেন্দু সিংহ মহাপাত্র।
ভূদেব মণ্ডল জানিয়েছেন, তিনি পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে পর্যন্ত বিজেপির বুথ সভাপতির দায়িত্বে ছিলেন। নির্বাচনে দল তাঁকে প্রার্থী না করায় দল ছেড়ে নির্দল হিসাবে প্রতিদ্বন্দিতা করে জয় ছিনিয়ে এনেছেন। কিন্তু নির্দল সদস্য হিসাবে এলাকায় উন্নয়ন সম্ভব নয় বুঝতে পেরেই তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন।
তৃণমূলের বাঁকুড়া জেলা সভাপতি দিব্যেন্দু সিংহ মহাপাত্র জানান, এই যোগদানের ফলে আরও একটি গ্রাম পঞ্চায়েত দলের হাতে আসার পাশাপাশি ওই এলাকায় তৃণমূল আরও শক্তিশালী হল। বিজেপি অবশ্য গোটা ঘটনাকে তৃণমূলের রাজনৈতিক দেউলিয়াপনার বহিঃপ্রকাশ বলে কটাক্ষ করেছে। বিজেপির বাঁকুড়া সাংগঠনিক জেলার সাধারণ সম্পাদক স্বপন মুখোপাধ্যায়ের বক্তব্য, সারা রাজ্যে তৃণমূল কীভাবে পঞ্চায়েত ভোট করিয়েছে, তা সকলের জানা। গায়ের জোর, হিংসা শেষ। এবার মানুষ বুঝিয়ে দলে টেনে পঞ্চায়েত দখল করছে।