বাঁকুড়া: দিন কয়েক আগেই নেতাজী ইন্ডোর স্টেডিয়ামে দলের পুরনো কর্মীদের ফের দলে আহ্বান জানিয়েছিলেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী। দলের সুপ্রিমোর ইঙ্গিত মিলতেই লোকসভা নির্বাচনের আগে ঘর গোছাতে এবার পুরানো কর্মীদের দলে ফেরাতে মরিয়া চেষ্টা শুরু করেছে তৃণমূল। গতকাল বাঁকুড়ার কোতুলপুরে একটি সভায় প্রকাশ্যেই অভিমান ভুলে দলের পুরানো কর্মীদের দলে ফিরে আসার আহ্বান জানিয়েছেন তৃণমূলের বাঁকুড়া সাংগঠনিক জেলা সভাপতি অরুপ চক্রবর্তী। বিজেপির তরফে এই ঘটনাকে তীব্র কটাক্ষ করা হয়েছে। বিজেপির দাবি কাটমানির ভাগ বাটোয়ারা নিয়ে গোষ্ঠীদ্বন্দে জর্জরিত তৃণমূল। তাই তৃণমূলের একাংশ নিষ্কৃয় হয়ে পড়েছে। সেই নিস্ক্রিয় অংশকেই এখন কাছে টানার চেষ্টা করছে তৃণমূল।
গত লোকসভা ও বিধানসভা নির্বাচনে বাঁকুড়া জেলায় খারাপ ফল হয় রাজ্যের শাসকদল তৃণমূলের । লোকসভা নির্বাচনে বাঁকুড়া ও বিষ্ণুপুর দু’টি আসনই হাতছাড়া হয়। বিধানসভাতেও জেলার ১২ টির মধ্যে ৮ টি আসন হাতছাড়া হয় তৃণমূলের। দুই নির্বাচনের ফল কাটাছেঁড়া করে তৃণমূল বুঝতে পারে দলের একাংশের নিষ্কৃয়তা ও দলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরেই বাঁকুড়া জেলাজুড়ে একের পর এক নির্বাচনে মুখ থুবড়ে পড়ছে রাজ্যের শাসক দল।
গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে নিষ্কৃয় সেই অংশের একাংশকে ময়দানে নামিয়ে ডিভিডেন্ড তোলে তৃণমূল। এবার সেই একই ফর্মুলায় সামনের লোকসভা নির্বাচনে বাজিমাত করতে মরিয়া রাজ্যের শাসক দল। আর সেই লক্ষ্যেই এবার দলের সুপ্রিমোর ইঙ্গিত মিলতেই পুরানো কর্মীদের দলে টানার প্রক্রিয়া শুরু করেছে বাঁকুড়া জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব।
গতকাল বাঁকুড়ার কোতুলপুরের একটি সভায় তালডাংরার বিধায়ক তথা তৃণমূলের বাঁকুড়া সাংগঠনিক জেলা সভাপতি অরূপ চক্রবর্তী বলেন, “পদ না পেলেই দলের এক শ্রেণির নিষ্কৃয় হয়ে পড়ছেন। এটা কেন হবে। দল যাকে মনে করবে তাকে পদ দেবে। বাকিরা নেতৃত্বের নির্দেশ অনুযায়ী দলের কাজ করবে। অভিমান করে বসে থাকলে চলবে না। দলের পুরানো কর্মীরা যারা লড়াই করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে মুখ্যমন্ত্রী করেছেন তারা দলে ফিরে আসুন” বিজেপির কটাক্ষ তৃণমূল গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে জর্জরিত। তা বুঝেই এখন তৃণমূল নেতারা এইসব কথা বলছেন।