বাঁকুড়া: একুশে জুলাইয়ের শহিদ সমাবেশের জন্য স্থানীয় এক ব্যবসায়ীর কাছে চাঁদা তোলা নিয়ে অশান্তি হয়েছিল। প্রতিবাদ করায় ব্যবসায়ীর বিশেষ ভাবে সক্ষম ছেলেকে দলীয় কার্যালয়ে ডেকে ব্যাপক মারধরের অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল। ঘটনা বাঁকুড়ার তালডাংড়া ব্লকের বিবড়দা গ্রামের।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সিমলাপাল ব্লকের কড়াকানালি গ্রামের বাসিন্দা সমীর মণ্ডল দীর্ঘদিন ধরেই বিবড়দা বাজারে প্যাথলজির ব্যবসা করছেন। অভিযোগ, একুশ জুলাইয়ে সমাবেশের জন্য ওই প্যাথলজি ব্যবসায়ীর কাছে তৃণমূল ৫০০ টাকা চাঁদা ধার্য করে। ব্যবসায়ীর দাবি, তৃণমূলকে ৪০০ টাকা চাঁদা তিনি দিয়েও দেন। কিন্তু এই চাঁদা আদায়কে কেন্দ্র করে তৃণমূলের স্থানীয় নেতা কর্মীদের সঙ্গে বচসা হয় ব্যবসায়ীর ছেলে শুভঙ্কর মণ্ডলের।
অভিযোগ, সেই বচসার জেরেই সোমবার প্যাথলজি কেন্দ্র বন্ধ রাখার নিদান দেন স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব। সোমবার সন্ধ্যায় ব্যবসায়ী সমীর মণ্ডল ও তাঁর ছেলে শুভঙ্করকে তৃণমূলের স্থানীয় কার্যালয়ে ডাকা হয়। প্রথমে সমীর একা তৃণমূলের দলীয় কার্যালয়ে যান। তাঁকে দিয়েই ছেলেকে ফের ডেকে পাঠানো হয়।
অভিযোগ শুভঙ্কর তৃণমূলের স্থানীয় দলীয় কার্যালয়ে গেলে তাঁকে চল্লিশ থেকে পঞ্চাশ জন তৃণমূল কর্মী তৃণমূলের দলীয় কার্যালয়ের ভেতরেই বেধড়ক মারধর করে। আহত হন শুভঙ্কর। তাঁকে উদ্ধার করে প্রথমে তালডাংড়া গ্রামীণ হাসপাতালে ও পরে বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান।
তৃণমূলের অভিযুক্ত অঞ্চল সভাপতির দাবি, শুভঙ্কর কয়েকদিন আগে এক তৃণমূল নেতাকে অযথা টেলিফোনে গালিগালাজ করেছিলেন। সেই কারণে তাঁকে দলীয় কার্যালয়ে ডেকে পাঠালে শুভঙ্কর তাঁর ওপর হামলা চালান বলে পাল্টা অভিযোগ। মারধরের ঘটনা অস্বীকার করে তৃনমূলের অঞ্চল সভাপতির দাবি, শুভঙ্কর পড়ে গিয়ে নিজে আহত হয়ে থাকতে পারেন।