Bankura TMC: চাকরি বাতিলের সঙ্গে ফেরত দিতে হবে বেতনের টাকাও, খবর বেরতেই বেপাত্তা তৃণমূল বুথ সভাপতি ও তাঁর ভাই

TV9 Bangla Digital | Edited By: শর্মিষ্ঠা চক্রবর্তী

Feb 12, 2023 | 1:51 PM

Bankura TMC: আদেশ চট্টোপাধ্যায়ের ভাই উৎপল চট্টোপাধ্যায়ের দাবি, "আমি যতটুকু জানি, দাদা পরীক্ষা দিতে গিয়েছিল। তারপর কী ব্ল্যাঙ্ক খাতা, কী বলছে, আমি এসব জানি না। অসম্ভব নয়।"

Bankura TMC: চাকরি বাতিলের সঙ্গে ফেরত দিতে হবে বেতনের টাকাও, খবর বেরতেই বেপাত্তা তৃণমূল বুথ সভাপতি ও তাঁর ভাই
চাকরি গিয়েছে তৃণমূল ব্লক সভাপতির

Follow Us

বাঁকুড়া: ওএমআর শিট জালিয়াতি করায় বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের (Justice Abhijit Gangopadhyay) নির্দেশে ১৯১১ জনের চাকরি গিয়েছে। বাঁকুড়া জেলাতেও এই চাকরি বাতিলের তালিকায় অনেকের নাম রয়েছে। জানা গিয়েছে সেই তালিকায় নাম রয়েছে বাঁকুড়ার পাতালখুড়ির তৃণমূল বুথ সভাপতি আদেশ চট্টোপাধ্যায় ও তাঁর দাদা উত্তম চট্টোপাধ্যায়ের নাম। বাঁকুড়া ১ নম্বর ব্লকের পাতালখুঁড়ি গ্রামের বাড়িতে থাকেন আদেশ ও উত্তম। তাঁরা ২০১৮ সালে গ্রুপ ডি পদে চাকরি পান। বাঁকুড়া হিন্দু হাইস্কুলে গ্রুপ ডি কর্মী হিসাবে যোগ দেন উত্তম চট্টোপাধ্যায়। অন্যদিকে, আদেশ বিকনা ক্ষীরোদপ্রসাদ উচ্চ বিদ্যালয়ে গ্রুপ ডি পদে যোগ দেন। অভিযোগ ওঠে, তাঁরা ফাঁকা ওএমআর শিট জমা দিয়ে চাকরি পেয়েছেন। আদালতে সেই অভিযোগ প্রমাণিত হয়। হাইকোর্টের নির্দেশে তাঁদের চাকরি যাওয়ার বিজ্ঞপ্তি ইতিমধ্যেই প্রকাশিত হয়ে গিয়েছে। আদেশ এবং উত্তমের বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে, রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে তাঁরা চাকরি পেয়েছিলেন। জানা গিয়েছে, দাদা উত্তমেরও চাকরির ব্যবস্থা করেছিলেন আদেশই। স্থানীয় বাসিন্দারা জানাচ্ছেন, চাকরি বাতিলের খবর প্রকাশিত হতেই গা ঢাকা দিয়েছেন উত্তম ও আদেশ।

গত চার বছর ধরে দুই ভাই চাকরি করছেন বহাল তবিয়তে। হাইকোর্টের এই নির্দেশের পরই চাকরি গিয়েছে তাঁদের। বাড়িতে গিয়েও দেখা মিলেনি তাঁদের। এদিকে, গত চার বছরের বেতন বাবদ যে টাকা তাঁরা পেয়েছেন, তাও ফিরত দিতে হবে। এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই তোপ দাগছেন বিরোধীরাও। বাঁকুড়া এক নম্বর ব্লকের বিজেপির মণ্ডল সভাপতি বিকাশ ঘোষ বলেন, “চাকরি যাওয়ারই ছিল। টাকা দিয়ে প্রভাব খাটিয়ে নিজের ও দাদার চাকরি করেছিলেন। গ্রামেরও এক জনের কাছ থেকে টাকা নিয়ে চাকরি করিয়েছিলেন।”

বিষয়টি নিয়ে অস্বস্তিতে তৃণমূল নেতৃত্বও। তাঁদের বক্তব্য, কে কোথায় প্রভাব খাটিয়ে চাকরি পেয়েছেন, তা দলের জানা নেই। আইন আইনের পথে চলবে। আদেশ চট্টোপাধ্যায়ের ভাই উৎপল চট্টোপাধ্যায়ের দাবি, “আমি যতটুকু জানি, দাদা পরীক্ষা দিতে গিয়েছিল। তারপর কী ব্ল্যাঙ্ক খাতা, কী বলছে, আমি এসব জানি না। অসম্ভব নয়।” উল্লেখ্য, চাকরি বাতিলের এই তালিকায় নাম রয়েছে মালদা, মুর্শিদাবাদের একাধিক জনের নাম।

Next Article