বাঁকুড়া: নুনেও ভেজাল! বিষ্ণুপুরের পাঁচটি গুদামে হানা দিয়ে নামী কোম্পানির অবিকল নিম্ন মানের নুনের ২০০০ প্যাকেট উদ্ধার করল পুলিশ। কথায় বলে নুন আনতে পান্তা ফুরোয়। কিন্তু সেই নুনেও এবার ভেজাল। নামী ব্র্যান্ডের অবিকল নকল মোড়কে ভরে দেদার বিকোচ্ছিল অতি নিম্ন মানের নুন। শেষ পর্যন্ত পুলিশের সহায়তা নিয়ে নামী সংস্থা নিযুক্ত বেসরকারি তদন্তকারী আধিকারিকরা বাঁকুড়ার একের পর এক গুদামে হানা দেন। উদ্ধার করেন নকল ব্র্যান্ড ব্যবহার করে মজুত করে রাখা বিপুল পরিমান নুন। ঘটনা বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুর শহরের ময়রাপুকুর ও ঝাপড় মোড় এলাকার।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সাম্প্রতিক সময়ে বিষ্ণুপুর শহরের বিভিন্ন বাজারে নকল নুনের রমরমা চোখে পড়েছিল দেশের একটি নুন প্রস্তুতকারী সংস্থার। সংস্থাটি লক্ষ করে তাদের প্যাকেট অবিকল নকল করে অপেক্ষাকৃত অনেক নিম্ন মানের নুন বাজারে ছড়িয়ে দিয়ে মুনাফা ঘরে তুলছে একশ্রেনির অসাধু কারবারি। বিষয়টি নজরে আসতেই নড়েচড়ে বসে ওই নামী সংস্থা। নকল ব্র্যান্ড ব্যবহার করে নুন মজুতকারি ও তা বাজারে সরবরাহকারীদের শনাক্ত করতে নিয়োগ করা হয় একটি বেসরকারি তদন্তকারী সংস্থাকে। ওই তদন্তকারী সংস্থার গোয়েন্দারা তদন্ত করে জানতে পারেন, বিষ্ণুপুরের ময়রাপুকুর ও ঝাপড় মোড় এলাকার পাঁচটি গুদামে ওই নুন মজুত করা হচ্ছে। এরপরই বাঁকুড়া জেলা পুলিশের সহায়তা নিয়ে শনিবার রাতে সংস্থা নিযুক্ত তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা হানা দেন ওই গুদামগুলিতে। গুদামগুলি থেকে বিপুল পরিমাণ নুন উদ্ধার করা হয়। মজুতকারী পাঁচ জন ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগও দায়ের করা হয় বিষ্ণুপুর থানায়। নামী সংস্থা নিযুক্তকারী তদন্তকারী আধিকারিকদের দাবি, নামী ব্র্যান্ডের অবিকল নকল প্যাকেটে ট্রেডমার্ক বিহীন নিম্ন মানের নুন বিক্রি ও সরবরাহ করার অভিযোগ জানানো হয়েছে ওই পাঁচ জনের বিরুদ্ধে।
অভিযুক্ত ব্যবসায়ীদের দাবি, ট্রেড মার্কবিহীন ওই নুন বিক্রি বা মজুত করা বেআইনি, তা তাঁরা জানতেন না।