বাঁকুড়া : শীত পড়তেই প্রতি বছর মুকুটমণিপুরের (Mukutmanipur) পরেশনাথ পাহাড়ে (Pareshnath Hill) বাড়তে থাকে পর্যটকদের ভিড়। যদিও করোনা প্রাদুর্ভাবের জন্য বিগত কয়েক বছর ধরে খানিক কমেছিল মানুষের যাতায়াত। কিন্তু, করোনা ফাঁড়া খানিক কাটতেই পিকনিক থেকে শুরু করে ছুটির দিনে ঘুরতে যাওয়ার জন্য অনেকেই বেছে নেন পরেশনাথ পাহাড়কে। এবার সেই পরেশনাথ থেকেই উদ্ধার হল যুগলের ঝুলন্ত দেহ। ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়াল গোটা এলাকায়। সূত্রের খবর, এদিন সকালে কংসাবতী জলাধারের পাড়ে থাকা পরেশনাথ শিব মন্দির লাগোয়া এলাকায় ঘোরাঘুরি করছিলেন কিছু পর্যটক। মন্দিরের পাশেই থাকা একটি গাছে নজর পড়তেই চোখ কপালে উঠল তাঁদের।
দেখা যায় গাছ থেকে ঝুলছে এক যুবক আর এক যুবতীর দেহ। ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায় গোটা এলাকায়। খবর যায় পুলিশে। রীতিমতো ভিড় জমে যায় মন্দির লাগোয়া এলাকায়। শেষে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে দেহদুটি উদ্ধার করে। যদিও ওই যুগলের নাম পরিচয় এখনও জানা যায়নি। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান প্রেম ঘটিত কারণে আত্মহত্যা করেছে ওই যুগল। যদিও খুনের তত্ত্বও উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে। শুরু হয়েছে তদন্ত। জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে এলাকার বাসিন্দাদের। দেহ দুটি ময়নাতদন্তের জন্য বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজে পাঠিয়েছে রানীবাঁধ থানার পুলিশ। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট এলে খুন না কি আত্মহত্যা তা আরও পরিষ্কার হবে বলে জানাচ্ছেন তদন্তকারী পুলিশ আধিকারিকরা।
ঘটনা প্রসঙ্গে স্থানীয় বাসিন্দা উত্তম মাহাতো বলেন, “সকালে কিছু পর্যটক এখানে এসেছিল। তারপরই আমরা খবরটা পাই। দুজন যুবক-যুবতীর দেহ গাছে ঝুলতে দেখা গিয়েছে বলে জানতে পারি। তারপরই আমরা পরেশনাথ পাহাড়ে আসি। এসে দেখি সত্যি সত্যিই দুজনের দেহ গাছ থেকে ঝুলছে। তবে ওদের নাম-পরিচয় আমরা জানতে পারিনি। পুলিশে খবর যায়। পুলিশ এসেই লাশগুলি গাছ থেকে নামায়। আমাদের মনে হয় ভোররাতের দিকে আত্মহত্যা করেছে। ছেলেটার বয়স ২২ মতো হবে। মেয়েটার উনিশের কাছাকাছি।”