Bankura: মধ্যরাতে শৌচকর্মের সময়ে আচমকাই পিছন থেকে শূন্যে তুলে আছাড়, তরুণীকে হিঁচড়ে টেনে নিয়ে গেল ৩০ মিটার
Bankura: গোঙানির শব্দ শুনতে পেয়ে পরিবারের সদস্যরা ছুটে যান। চিৎকার চেঁচামেচি শুনতে পেয়ে গ্রামবাসীরাও জড়ো হয়ে যান। আহত মামনিকে গ্রামবাসীরা উদ্ধার করে বড়জোড়া সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করেন
বাঁকুড়া: ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে বাঁকুড়ায় ফের হাতির হানায় মৃত্যু। ঘটনাস্থল সেই এক। বাঁকুড়ার হরিচরণডাঙা। বুধবার মাঝরাতে হঠাৎই শৌচকর্মে যেতে হয় বছর চব্বিশের মামনি ঘোড়ুইকে। তখনই হাতির নজরে পড়ে যান তিনি। পিছন থেকে শুঁড়ে পেঁচিয়ে শূন্যে তুলে আছাড় মারে হাতি। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় মামনির। এর আগে গত মঙ্গলবার বড়জোড়া ব্লকের গোপবান্দি এলাকায় হাতির হানায় মৃত্যু হয় এক বৃদ্ধের। ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে হাতির হানায় পরপর দু’জনের মৃত্যুর ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।
পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার গভীর রাতে ঘুম থেকে উঠে শৌচকর্ম করতে বাড়ির বাইরে যান হরিচরণডাঙা গ্রামের বছর চব্বিশের তরুণী মামনি। মধ্যরাতে জঙ্গল থেকে গ্রামে ঢুকে পড়েছিল চারটি হাতি। মামনি বাড়ির পিছনে জঙ্গলে গিয়েছিলেন। কিছু বুঝে ওঠার আগেই একটি হাতি মামনির উপর হামলা চালায়। হাতিটি শুঁড়ে করে মামনিকে তুলে আছাড় মারে। তারপর প্রায় ত্রিশ ফুট দেহটি টেনে নিয়ে যায় হাতিটি। শব্দ শুনে গ্রামবাসীরা বেরিয়ে এলে হাতিগুলি গ্রাম ছেড়ে পালিয়ে যায়।
গোঙানির শব্দ শুনতে পেয়ে পরিবারের সদস্যরা ছুটে যান। চিৎকার চেঁচামেচি শুনতে পেয়ে গ্রামবাসীরাও জড়ো হয়ে যান। আহত মামনিকে গ্রামবাসীরা উদ্ধার করে বড়জোড়া সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করেন। এইভাবে হাতির হানায় একের পর এক মৃত্যুর ঘটনায় স্বাভাবিকভাবেই এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। দ্রুত এলাকা থেকে হাতি সরানোর দাবিতে সরব হয়েছেন এলাকাবাসী।
এক মহিলা বলেন, “আমাদের তো রাতবিরেতে প্রয়োজনে অনেক সময়েই বেরোতে হয়। কীভাবে বুঝব এমনটা হবে? রাতে কেন, দিনের বেলাতেই হাতি মেরে ফেলছে। আমাদের অবস্থা মারাত্মক। বনদফতরকে একাধিকবার জানানো হয়েছে।” বন দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই চারটি হাতি তাদের রেসিডেন্সিয়াল এলাকা ছেড়ে বেরিয়ে এসেছে। তাদের জঙ্গলে ফেরানোর ব্যবস্থা করা হচ্ছে।