Bankura: যানজটে আটকে দমকলের গাড়ি, পুড়ে ছাই আস্ত বাড়ি, প্রশ্নের মুখে পুরসভার ভূমিকা
Bankura: বুধবার রাতে বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুর শহরের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের হাড়ি পাড়াতে একটি বসত বাড়িতে আচমকা আগুন লাগে। মুহূর্তেই আগুনের লেলিহান শিখা গেলে ফেলে গোটা বাড়িটাকে। এলাকার বাসিন্দারাই তড়িঘড়ি আগুন নেভানোর কাজে হাত দেন।
বিষ্ণুপুর: শহরের অপেক্ষাকৃত ঘিঞ্জি রাস্তায় উচ্ছেদ অভিযান না চালিয়ে অপেক্ষাকৃত ফাঁকা জায়গায় চলছে অভিযান। তা নিয়ে একদিনই আগেই প্রশ্ন তুলেছিলেন যুব তৃনমূলের বিষ্ণুপুর শহর সভাপতি। সরব হয়েছিল বিরোধীরাও। যা নিয়ে রাজনৈতিক তরজাও চলছে। সেই ঘটনার ২৪ ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই বিষ্ণুপুর শহরেই যানজটে আটকে পড়ল দমকলের গাড়ি। প্রায় ৩০ মিনিটের বেশি সময় ধরে রাস্তাতেই দাঁড়িয়ে রইল গাড়ি। আগুনে ভূস্মীভূত হয়ে গেল এলাকারই একটা বাড়ি। পথে বসতে চলেছেন পরিবারের সদস্যরা। তাতেই প্রশ্ন উঠে গেল পুরসভার ভূমিকা নিয়ে। স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন একটু আগে দমকল এলেই এত বড় দুর্ঘটনা এড়ানো যেত।
প্রসঙ্গত, বুধবার রাতে বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুর শহরের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের হাড়ি পাড়াতে একটি বসত বাড়িতে আচমকা আগুন লাগে। মুহূর্তেই আগুনের লেলিহান শিখা গেলে ফেলে গোটা বাড়িটাকে। এলাকার বাসিন্দারাই তড়িঘড়ি আগুন নেভানোর কাজে হাত দেন। সঙ্গে সঙ্গে খবর দেওয়া হয় দমকলকে। কিন্তু, দমকল আসার আগেই সব শেষ।
ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করছেন স্থানীয় কাউন্সিলর রীতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর দাবি, ঘটনার খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই দমকলে খবর গিয়েছিল। কিন্তু, আসার পথে গোপালগঞ্জে যানজটে আটকে যায় দমকলের গাড়ি। প্রায় ৪০ মিনিট দেরিতে আসে ঘটনাস্থলে। আর একটু আগে এলে হয়তো বড় ক্ষতি এড়ানো যেত। এদিন দুপুরে ঘটনাস্থলে যান পুরপ্রধান গৌতম গোস্বামী। আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারটির পাশে দাঁড়ানোর আশ্বাস দিয়েছেন তিনি। একইসঙ্গে যানজটে যে সমস্যা হচ্ছে তা মেনে নিয়েছেন তিনি। দ্রুত কীভাবে সমস্যা সমাধান করা যাবে সে বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার প্রতিশ্রুতিও দেওয়া হয়েছে।