বাঁকুড়া: নিয়োগ কেলেঙ্কারি, এবং গরু পাচারকাণ্ডে গ্রেফতার হয়েছেন তৃণমূলের দুই হেভি ওয়েট নেতা পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও অনুব্রত মণ্ডল। তাঁদের গ্রেফতারির পরই রাজ্যজুড়ে পথে নেমেছে বিরোধী দল বিজেপি। ‘চোর ধরো, জেলে ভরো’ কর্মসূচিও চালু করেছেন তাঁরা। তবে সেই কর্মসূচিতেও প্রকাশ্যে এল বিজেপি-র গোষ্ঠী কোন্দল। দলের এক শ্রেণির নেতা দলটাকে শেষ করে দিল আক্ষেপ বিজেপি-র মণ্ডল সভাপতির। এরা সকলেই গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে জড়িত। পাল্টা দাবি তৃণমূলের।
শুক্রবার বিকেলে ওন্দা বিধানসভার ভেদুয়াশোলে এই কর্মসূচি পালন করা হয় বিজেপির তরফে। বিজেপির জেলা সভাপতি বিল্লেশ্বর সিং, জেলা সহ সম্পাদক সুপ্রভাত পাত্র সহ দলের নেতারা সেই কর্মসূচিতে থাকলেও দেখা যায়নি এলাকার মণ্ডল সভাপতিকে। এমনকী দেখা যায়নি এলাকার বিধায়ককেও। এরপরই ক্ষোভ উগরে দেন খোদ মণ্ডল সভাপতি।
দলীয় কর্মসূচিতে ডাক না পেয়ে দলের জেলা সভাপতি ও সহ সম্পাদকের বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন বিজেপির ওন্দা ২ নং মণ্ডলের সভাপতি অনুপ বাউরি। বিজেপি বিধায়ক অমরনাথ শাখা ঘনিষ্ঠ ওই মণ্ডল সভাপতির অভিযোগ, ওন্দা ২ নং মণ্ডলে বিজেপি কর্মসূচি পালন করছে। অথচ বিষয়টি নিয়ে কোনও কিছুই জানেন না তিনি। এমনকী জানেন না এলাকার বিজেপি বিধায়কও। দলের একশ্রেণির নেতাদের জন্য দলীয় পরিস্থিতি খারাপ জায়গায় যাচ্ছে বলেও অভিযোগ তোলেন বিজেপি মণ্ডল সভাপতি।’ এরপর তিনি আরও যোগ করে বলেন, ‘গ্রুপবাজি করে দলটাকে শেষ করার দায়িত্ব নিয়েছে বিজেপির জেলার কিছু নেতা।’ বিষয়টি নিয়ে ইতিমধ্যেই বিজেপির জেলা নেতার বিরুদ্ধে রাজ্যের কাছে নালিশ করেছেন মণ্ডল সভাপতি।
যদিও, বিষয়টিকে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব মানতে নারাজ বিজেপির বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক জেলার সহ সম্পাদক সুপ্রভাত পাত্র। তাঁর দাবি দলের কর্মসূচিতে সবাইকে ডাকা হয়। সবাই মিলেই সেই কর্মসূচি পালন করা হয়। অপরদিকে গোটা ঘটনা নজর এড়ায়নি শাসকদল তৃণমূলের। তাদের যদিও দাবি, বিজেপি গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে জর্জরিত। বিজেপি পঞ্চায়েত নির্বাচনে প্রার্থী দিতে পারবে না। ওদের লোক নেই তাই ইডি ও সিবিআই নিয়ে ক্ষমতায় আসতে চাইছে।