পুরুলিয়া: গত ১৩ মার্চ ঝালদায় খুন হন কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দু। পাঁচ মাস ঘুরতে চলল এখনও এই ঘটনায় মূল অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা যায়নি। অন্যদিকে এই ঘটনার তদন্তভার সিবিআইকে দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। সোমবার রাতে ঝালদায় বন দফতরের বাংলোয় সিবিআইয়ের যে অস্থায়ী ক্যাম্প, সেখানে দেখা গেল বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতা নেপাল মাহাতোকে। হঠাৎ রাতে সিবিআই ক্যাম্পে কেন? নেপাল মাহাতো বলেন, “অনেকদিন হল, তাই খোঁজ খবর নিতেই আমি নিজে দেখা করতে এসেছিলাম।”
পুরুলিয়ার ঝালদা পুরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ছিলেন তপন কান্দু। পুরভোটের ফল প্রকাশের পর পরই তাঁকে গুলি করে খুন করা হয় বলে অভিযোগ ওঠে। উদ্ধার করে রাঁচির একটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়। গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু হয় চারবারের কাউন্সিলরের। বিরোধী দলের কাউন্সিলরের এই মৃত্যু ঘিরে তোলপাড় হয় রাজ্য রাজনীতি। ঘটনার দিন দলের বৈঠকে যোগ দিতে গিয়েছিলেন তপন। বৈঠক সেরে ঝালদায় ফিরে বিকেলে রাস্তায় বেরিয়েছিলেন।
অভিযোগ ওঠে, মোটরবাইকে চেপে দুষ্কৃতীরা এসে তাঁকে সামনে থেকে গুলি করে। একেবারে মাথায় গুলি লাগে তাঁর। রাঁচির হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে সেখানেই তিনি মারা যান। পুলিশকে কাঠগড়ায় তোলে তাঁর পরিবার ও দল। প্রথম থেকেই নিহতের পরিবারের অভিযোগ ছিল পুলিশের ভূমিকা নিয়ে। সিবিআই তদন্তের দাবি তোলে তারা। কলকাতা হাইকোর্ট সে নির্দেশও দিয়েছে। ইতিমধ্যেই একাধিকবার ঝালদা থানার আইসিকে তলব করেছে তদন্তকারীরা। সেই তপন কান্দুর মৃত্যুর পর এতটা সময় কেটে গেলেও সেই শার্প শুটার এখনও অধরা। এই পরিস্থিতিতেই সোমবার সিবিআইয়ের অস্থায়ী দফতরে দেখা যায় নেপাল মাহাতোকে।
এদিন নেপাল মাহাতো বলেন, “দু’দিন আগে তপন কান্দুর স্ত্রী পূর্ণিমা কান্দু এসেছিলেন। আমিও এলাম। তদন্তের গতি প্রকৃতি একটু ধীরে চলছে বা কী পর্যায়ে আছে তা নিয়ে আমরা উৎসুক ছিলাম, উদগ্রীব ছিলাম। আমি মনে করলাম একবার আমাদের যাওয়া দরকার লেটেস্ট স্টেটাস জানার জন্য। যাঁরা আধিকারিক তাঁদের সঙ্গে কথা বললাম। আমরা ভরসা রাখছি। তারাও চেষ্টা করছে রহস্য উদঘাটিত করার জন্য। আমরা জানি এই প্রচেষ্টা সফলও হবে। আমরা বলেছি, সবরকম সহযোগিতা আমরা করব। কিন্তু ঝালদার মানুষ তপন কান্দুর হত্যার বিচার চায়। দোষীদের শাস্তি দিতেই হবে। সিবিআই যেভাবে খাটছে তাতে আসল রহস্য নিশ্চয়ই উদঘাটিত হবে।”