বাঁকুড়া: সভামঞ্চ থেকে তৃণমূল নেতাদের গাছে বেঁধে ‘উত্তম মধ্যম’ দেওয়ার নিদান দিয়ে ফের বিতর্কে জড়ালেন বিজেপি নেতা বিকাশ ঘোষ। এর আগেও একাধিকবার প্রকাশ্যে এমনই নিদান দিতে দেখা গিয়েছে তাঁকে। বিজেপি নেতার মন্তব্যে সোচ্চার তৃণমূল। জেলা বিজেপি নেতৃত্বের অবশ্য বক্তব্য, এই কথা আসলে ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ।
কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের ৯ বছর পূর্তি উপলক্ষে রবিবার বিজেপির বাঁকুড়া চার নম্বর মণ্ডলের উদ্যোগে পুয়াবাগান এলাকায় একটি জনসভার আয়োজন করা হয়। সেই জনসভায় দলের অন্যান্য জেলা নেতৃত্বের পাশাপাশি উপস্থিত ছিলেন বিজেপির বাঁকুড়া সাংগঠনিক জেলার জেলা কমিটির সদস্য বিকাশ ঘোষ। সেই সভাতে বক্তব্য রাখতে গিয়ে দলের কর্মীদের উদ্যেশ্যে বিকাশ ঘোষ বলেন, “তৃণমূল নেতারা হুমকি বা ধমক চমক দিতে এলে তাঁদের গাছে বেঁধে ভাল করে উত্তম মধ্যম দিন। তারপর তাঁদের হাসপাতালে পাঠিয়ে দিন। আমাদের বিধায়ক বসে আছেন। তিনি সুপারিশ করে দেবেন।”
এখানেই থেমে থাকেননি তিনি। বিজেপির ওই নেতার আরও হুঁশিয়ারি, “আমরা যদি ক্ষমতায় আসতে পারি তাহলে বাবার নাম ভুলিয়ে দেব। একশো দিনের কাজের টাকা লুঠ করেছে। পঞ্চায়েত, পঞ্চায়েত সমিতির টাকা লুঠ করেছে। যে সব প্রশাসন ও তৃণমূলের চামচারা তাঁরা তখন বুঝতে পারবে।”
সভামঞ্চে এই বক্তব্যের সমর্থনে বিজেপির ওই নেতার যুক্তি, “কেউ আক্রমণ করতে এলে আমরা তো চুপাচপ বসে থাকব না। প্রতিরোধ আমরা করবই।”
বিজেপির বাঁকুড়া সাংগঠনিক জেলা সভাপতির দাবি, “সর্বত্র যেভাবে লুঠ চলছে, ভোটের নামে প্রহসন হয়েছে ও বিজেপি কর্মীদের যেভাবে হুমকি দেওয়া হচ্ছে, তাতে ক্ষুব্ধ হয়েই একথা বলেছেন বিজেপি নেতা।” তৃনমূলের বাঁকুড়া জেলার মুখপাত্র মহাপ্রসাদ সেনগুপ্ত বলেন, “বিজেপি আসলে একের পর এক ভোটে হারছে। মানুষের সমর্থন নেই। পায়ের তলার মাটি নেই। এখন নজরে পড়তে এই ধরনের কথাবার্তা বলছে। বিজেপি নেতারা এরকমই কথা বলেন। এটাই ওদের সংস্কৃতি।”