বাঁকুড়া: শুরু হয়েছে ‘দিদির সুরক্ষা কবচ’ কর্মসূচি। জনসংযোগ বাড়াতে ইতিমধ্যেই জেলাগুলিতে পৌঁছে যাচ্ছেন ‘দিদির দূত’-রা (Didir Doot)। এবার এই কর্মসূচি নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করলের বাঁকুড়ার বিজেপি বিধায়ক অমরনাথ শাখা (Amarnath Sakha)। দিদির দূত গেলে ঝাঁটা নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকার নিদান দিলেন তিনি। বিধায়কের এ হেন মন্তব্যে কড়া সমালোচনা করেছে তৃণমূল (TMC)।
মঙ্গলবার বিকালে বাঁকুড়ার সোনামুখী ব্লকের কোচডিহি এলাকায় দলীয় একটি কর্মসূচিতে যান বিজেপি বিধায়ক। প্রকাশ্য মঞ্চে বলেন, “এখন দরজায় দরজায় দিদির দূতেরা আসছে। আপনারা ঝাঁটা নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকবেন।”
এর আগেও সভামঞ্চ থেকে বিভিন্ন সময় বেলাগাম মন্তব্য করে বিতর্কে জড়াতে দেখা গিয়েছে ওন্দার বিজেপি বিধায়ক অমরনাথ শাখাকে। এবার সোনামুখী বিধানসভার কোচডিহি এলাকায় অঞ্চল সম্মেলনের মঞ্চ থেকে তৃণমূলের ‘দিদির দূত’ কর্মসূচীকে বেলাগাম আক্রমণ করেন বিধায়ক বক্তব্য রাখতে গিয়ে বলেন, “এগারো বছর বরবাদ করে দেওয়ার পর এখন সবদিক থেকে বাঁচার জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আবিষ্কার করেছেন দরজায় মমতার দূত। আমরা বলছি দরজায় মমতার ভূত। এই ভূতরা কোনও না কোনও দুর্নীতিতে জড়িয়ে রয়েছেন। তাঁরা কোনও মা কে বলেছেন আইসিডিএস-এ এসে চাকরি করে দেবেন, বেকার যুবকদের বলেছেন স্কুলে বা সিভিক কর্মীর চাকরি পাইয়ে দেব। এইভাবে প্রতিশ্রুতি দিয়ে কিছু না কিছু নিয়েছে। তাই এই ভূতরা গেলে আপনারা ঝাঁটা হাতে দাঁড়িয়ে থাকবেন।”
একই সঙ্গে তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও নাম না করে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে বেনজির আক্রমণ করে বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভিক্ষা ছড়িয়ে দিয়ে আমাদের পেটে বোমা মারছেন। মা ও ছেলে দুজনে মিলে রাজ্যকে জর্জরিত করে দিয়েছে। আমাদের প্রতিজ্ঞা নিতে হবে এই দুজনকে বাংলা ছাড়া করতে হবে। ওই দুজনের উদ্যেশ্য এই রাজ্যকে বাংলাদেশ বানানো।”
বিজেপি বিধায়কের এই বেনজির আক্রমণকে একহাত নিয়েছে তৃণমূলও। ঘাসফুলের দাবি, “ভূতকে মানুষ ভয় পায়। দিদির দূতেরা যেভাবে মানুষের দরজায়-দরজায় গিয়ে কাজ করছে তাতে বিজেপি নেতারা ভয় পেয়ে এমন সব কথা বলছে। যেভাবে গ্যাস ও পেট্রোপণ্যের দাম বেড়েছে, তাতে মানুষ তৈরি আছে বিজেপি নেতাদের ঝাঁটা পেটা করার জন্য। তৃণমূল চাইলে অমর নাথ শাখাদের বাঁকুড়া ছাড়া করতে বেশি সময় লাগবে না। কিন্তু তৃণমূল শান্তি চায়। শান্ত বাংলাকে বিজেপি অশান্ত করার চেষ্টা করছে।”