বাঁকুড়া: পুরোভোটের আগে পদ্মে অস্বস্তি বাড়িয়ে তৃণমূলে যোগ দিলেন বাঁকুড়ার দাপুটে বিজেপি নেতা রাজীব সেন। সোমবার বাঁকুড়ায় তৃণমূল ভবনে জেলা সভাপতি দিব্যেন্দু সিংহ মহাপাত্রর হাত থেকে ঘাসফুলের পতাকা তুলে নেন ওই বিজেপি নেতা। গেরুয়া নেতৃত্বের দিশাহীনতা থেকে বাঁচতে ও তৃণমূল সরকারের উন্নয়নে সামিল হতেই এই দলবদল। অন্তত এমনটাই দাবি রাজীব সেনের। আগে বিজেপির সারেঙ্গা দু নম্বর মণ্ডলের সভাপতি থাকলেও রাজীব এখন দলের কোনও পদে ছিলেন না দাবি বিজেপির।
অন্তর্কলহে জেরবার বঙ্গ বিজেপি। ক্ষোভের আগুন ছড়িয়ে পড়েছে দলের জেলা স্তরেও। বাঁকুড়া জেলার চার বিধায়ক দলের জেলা নেতৃত্বের রদবদল মেনে নিতে না পারায় কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে চিঠি দিয়েছেন। কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা ছাড়তে চেয়েছেন দুই বিধায়ক। দলের অন্দরে মাঝেমধ্যেই সুর চড়া হচ্ছে বিদ্রোহীদের। স্বাভাবিক ভাবেই পুরসভা নির্বাচনের আগে জেলা স্তরেও রীতিমত অস্বস্তিতে পদ্ম শিবির।
সেই অস্বস্তি আরও একটু বাড়িয়ে এবার ঘাসফুল শিবিরে যোগ দিলেন জঙ্গলমহলের দাপুটে বিজেপি নেতা রাজীব সেন। তৃণমূলে যোগ দেওয়ার সিদ্ধান্তের পিছনে বিজেপি নেতৃত্বের দিশাহীনতাকে অন্যতম প্রধান কারণ বলে দাবি করেছেন তিনি। এদিকে, স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্বের দাবি রাজীব সেন একসময় বিজেপির সারেঙ্গা দু নম্বর মণ্ডলের সভাপতি ছিলেন। বিধানসভা নির্বাচনের পরই তিনি দলের ওই পদ থেকে ইস্তফা দেন। বিজেপিতে থেকে রোজগার বন্ধ হয়ে যাওয়াতেই এই সিদ্ধান্ত বলে দাবি স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্বের।
দলবদলের পর রাজীব সেন বলেন, “আমি প্রত্যককে ধন্যবাদ জানাচ্ছি তৃণমূলের এই বৃহৎ পরিবারে আমায় সামিল করার জন্য। আজ গোটা বঙ্গের সামগ্রিক পরিস্থিতি বিশ্লেষণ করলে বোঝা যাবে ভারতীয় জনতা পার্টির অনেক নেতৃত্ববৃন্দ দল থেকে পরিত্রাণ পেতে চাইছে। বিধানসভা নির্বাচনের আগে থেকেই বিজেপির অনেকের আত্মঅহমিকা বৃদ্ধি পেয়েছে। পাশাপাশি সাধারণ কর্মীদের সঙ্গে সংযোগের ব্যর্থতায় একটা মাৎস্যন্যায় পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। এখানে সাধারণ কর্মী নেতা কেউ সুরক্ষিত নয়। এখন এটি বাংলা জ্বালানো পার্টিতে পরিণত হয়েছে।”
তবে তৃণমূলের দাবি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়নের কর্মযজ্ঞে সামিল হওয়ার বাসনাতেই রাজীব সেনের মতো বহু বিজেপি কর্মী ও নেতা তৃণমূলে যোগদানের আবেদন জানাচ্ছেন। সেই আবেদন পর্যালোচনা করে যোগদান করানো হচ্ছে।
আরও পড়ুন: Abhishek Banerjee: করোনা আক্রান্তদের বাড়ি বাড়ি পৌঁছে যাবে ফলের ঝুড়ি, সঙ্গে অভিষেকের বার্তা