বাঁকুড়া : কল্যাণী এইমসে প্রভাব খাটিয়ে চাকরি পেয়েছেন বিজেপি বিধায়কের মেয়ে? উত্তর খুঁজতে তদন্তের জাল গোটাতে শুরু করেছেন সিআইডি অফিসাররা। শুক্রবার দুপুরে বাঁকুড়ার বিজেপি বিধায়ক নীলাদ্রিশেখর দানার বাড়িতে হানা দেন সিআইডি অফিসাররা। বিধায়কের মেয়ে মৈত্রী দানাকে টানা আড়াই ঘণ্টা ধরে এইমসে নিয়োগ সংক্রান্ত বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেন তদন্তকারী আধিকারিকরা। তাঁর থেকে বেশ কিছু বিষয়ে তথ্য সংগ্র করেন সিআইডি অফিসাররা। এর পাশাপাশি বিধায়ক নীলাদ্রিশেখর দানার থেকেও তদন্তকারী অফিসাররা বেশ কিছু বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ করেছেন বলে সূত্র মারফত জানা গিয়েছে।
উল্লেখ্য, মাস খানেক আগে বিজেপির বনগাঁ সাংগঠনিক জেলা সভাপতি পার্থ চট্টোপাধ্যায় চিঠি পাঠিয়েছিলেন অমিত শাহকে। সেখানে তিনি অভিযোগ তুলেছিলেন, কল্যাণী এইমসে চাকরির ক্ষেত্রে একাধিক নেতাই প্রভাব খাটিয়ে নিজের আত্মীয় ও পরিজনদের চাকরি পাইয়ে দিয়েছেন। সেই তালিকায় নাম ছিল বাঁকুড়ার বিজেপি বিধায়ক নীলাদ্রিশেখর দানার মেয়েরও। কোন কোন নেতার প্রভাব খাটানোর অভিযোগ রয়েছে? শীর্ষ নেতৃত্বকে পাঠানো ওই চিঠিতে দলেরই দুই সাংসদের নামও উল্লেখ করেছিলেন তিনি। পরবর্তী সময়ে মুর্শিদাবাদের এক চাকরীপ্রার্থী কল্যাণী থানায় এইমসের নিয়োগের ক্ষেত্রে বেনিয়ম নিয়ে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছিলেন। এরপরই তড়িঘড়ি পদক্ষেপ করে সিআইডি। শুরু হয় তদন্ত।
উল্লেখ্য, এর আগেও নীলাদ্রিশেখর দানার মেয়েকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নোটিস পাঠিয়েছিলেন তদন্তকারী আধিকারিকরা। তবে সিআইডি অফিসারদের থেকে সেই সময় দশ দিনের জন্য সময় চেয়ে নিয়েছিলেন মৈত্রী দানা। এদিন সিআইডির চার সদস্যের এক তদন্তকারী দল বাঁকুড়ার বিজেপি বিধায়কের বাড়িতে পৌঁছে গিয়েছিলেন। সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, কল্যাণী এইমসের ওই পদে চাকরির জন্য যোগ্যতা মান রয়েছে কি না বিধায়কের মেয়ের, সেই সব বিষয়গুলি খতিয়ে দেখছেন সিআইডি আধিকারিকরা। এর পাশাপাশি, তাঁর চাকরির ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সুভাষ সরকারের কোনও সুপারিশ ছিল কি না… সেই সব বিষয়গুলি সম্পর্কেও তথ্য জানার চেষ্টা করছেন তদন্তকারী অফিসাররা। তবে ঠিক কী কী বিষয় নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে, তা নিয়ে এদিন সিআইডি আধিকারিকরা কোনও মন্তব্য করতে চাননি।