বাঁকুড়া: প্রেমের সম্পর্ক ওদের। মেয়েটি একাদশ শ্রেণিতে পাঠরত। ছেলেটি কাজ করে। সম্পর্কের শুরুতে মোটামুটি সবটা ঠিকঠাক চললেও পরে বাধে ঝামেলা। এরপর রবিবার নিত্যদিনের মতোই পড়া শেষ করে বাড়ি ফেরে মেয়েটি। কিন্তু তখন বাড়ির সদস্যরা বুঝতে পারেননি মনে-মনে এই চলছে। স্নান করতে যাচ্ছি বলে বের হয়নি মেয়েটি। নির্দৃষ্ট একটি জায়গায় আসে প্রেমিকও। তারপরই ভয়ঙ্কর কাণ্ড…!
গত ২ জুন বাঁকুড়ার সারেঙ্গায় আত্মঘাতী হয় এক যুগল। সেই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই ফের আত্মহত্যার ঘটনা জেলায়। বাঁকুড়ার ছাতনায় উদ্ধার হল যুগলের দেহ। রবিবার দুপুরে বাঁকুড়ার ছাতনা থানার ঝাঁটিপাহাড়ি গ্রাম লাগোয়া বেড়াথোলের জঙ্গলের একটি গাছে ঝুলন্ত অবস্থায় যুগলের মৃতদেহ নজরে আসে এলাকাবাসীর। এরপর পুলিশে খবর দেওয়া হলে স্থানীয় ঝাঁটিপাহাড়ি ফাঁড়ির পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে জোড়া মৃতদেহ উদ্ধার করে। মৃতদের নাম বাপ্পা বাউড়ি (২০) ও বর্ষা বাউড়ি (১৭)। প্রাথমিক ভাবে পুলিশের অনুমান প্রণয় ঘটিত কারণে ওই যুগল আত্মঘাতী হয়েছেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বাপ্পা বাউড়ি ও বর্ষা বাউড়ি দু’জনেরই বাড়ি ঝাঁটিপাহাড়ির আনন্দবাজার এলাকায়। বাপ্পা মুটে হিসাবে কাজ করলেও বর্ষা স্থানীয় ঝাঁটিপাহাড়ি হাইস্কুলে একাদশ শ্রেণি ছাত্রী। পরিবার সূত্রে খবর, রবিবার সকালে অন্যান্য দিনের মতো বর্ষা টিউশানি যায়। সেখান থেকে ফিরে গামছা নিয়ে পুকুরে যাওয়ার নাম করে বাড়ি থেকে বের হয়। এরপর থেকে তার আর খোঁজ মেলেনি। পরে পুলিশ মারফত বর্ষা ও বাপ্পার মৃতদেহ উদ্ধারের খবর পায় পরিবার।
পুলিশ মৃতদেহ দু’টি উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজে পাঠিয়েছে। বর্ষার কাকা দশানন বাউড়ি বলেন, “ওদের দু’জনের মধ্যে প্রেমের সম্পর্কের কথা আমরা সেভাবে জানতাম না। নিজেদের মধ্যে ঝগড়া হওয়ার কারণেই এই চরম সিদ্ধান্ত কি না বুঝতে পারছি না।”